ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃত্বের প্রস্তাব খারিজ করল রাজ্য সরকার

বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃত্বের প্রস্তাব খারিজ করল রাজ্য সরকার
বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃত্বের প্রস্তাব খারিজ করল রাজ্য সরকার

বেঙ্গলি পোর্টাল: বছর পেরোলেই বিধানসভা ভোট। এই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃত্বের প্রস্তাব খারিজ করে দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবরএই বিধানসভা ভোটে কেন্দ্র এখন চাইছে, প্রশাসনিক দিকটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডারদের হাতেই রাখতে। এই মর্মে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাবও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করেছে রাজ্য। নিজেদের আপত্তি এবং অবস্থান কেন্দ্রকে জানিয়েও দিয়েছে নবান্ন।

ভোটের প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সমন্বয়ের মূল বিষয় হল অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট পরিচালনা করা। সে কাজে সর্বত্র ভোট-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের হিসেব যেমন চাওয়া হয়, তেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটে গোলমালের সম্ভাবনা, বিরোধীদের বক্তব্য— ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন স্থির করে, রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোট-নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হবে। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা স্থির করে নির্বাচন কমিশন।

প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:

কেন্দ্রীয় বাহিনী কত আসবে এবং কোথায় যাবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করলেও বাস্তবে বাহিনীর গতিবিধি সমন্বয়ের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের উপরেই কার্যত পড়ে। যদিও গোটা পরিস্থিতির উপর কমিশনের নজরদারি থাকে।

রাজ্যের অভিজ্ঞ আধিকারিকেরা মনে করছেন, চিরাচরিত এই ‘প্রথায়’ বদল আনতে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি কী হবে, তা আর রাজ্য পুলিশের উপর কোনও ভাবেই নির্ভর করবে না।কেন্দ্রীয় বাহিনীর দলীয় নেতারাই সিদ্ধান্ত ‘চূড়ান্ত’ হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাকে আরও ২৭০০ কোটি দিতে চলেছে কেন্দ্র আমফান মোকাবিলায়

তবে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্তার বক্তব্য, সাংবিধানিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। সেখানে বাইরের বাহিনী নিজেদের সিদ্ধান্তে কাজ করতে পারে না। তা ছাড়া, নির্বাচনের কর্মযজ্ঞে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এলাকার পরিস্থিতি, ভাষা, পরিচিতি সবই তাঁদের নখদর্পণে। ফলে পরিস্থিতি অনুযায়ী চটজলদি পদক্ষেপ রাজ্য পুলিশই করতে পারে। তাই সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার স্বার্থে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়ের ঘাটতি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলে তাঁর মত। কয়েক দিন আগেই রাজ্যের থেকে ভোট-প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের সংখ্যার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সম্ভাব্য চাহিদা সম্পর্কেও ধারণা পেতে চেয়েছে তারা।

Leave a Reply