ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

করোনা আবহের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষায় বেশ কিছু বদল আনতে চলেছে WBPSC

পিএসির মাধ্যমে জল সম্পদ দপ্তরে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল
পিএসির মাধ্যমে জল সম্পদ দপ্তরে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল

বেঙ্গলি পোর্টাল: দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত পরীক্ষা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত মার্চ মাস থেকে রাজ্যজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন৷ মার্চের শেষ থেকে চাকরির পরীক্ষাগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে থমকে রয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে কমিশনের তরফে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের সম্ভাব্য সূচি প্রকাশ করা হলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তা বারেবারে বাতিল হয়ে যায়৷

সূত্রের খবর গত মাসে ১২ এবং ১৮ তারিখে নতুন করে পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে WBPSC৷ সেই সূচি অনুযায়ী, আগামী ২২ নভেম্বর থেকে পর পর লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ২২ নভেম্বর মোট চারটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম অর্ধে হবে ইএসআই হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার গ্রেড-থ্রি পদের পরীক্ষা৷ দ্বিতীয় অর্ধে পরীক্ষা হবে মোটর ভেহিকেল ইনস্পেক্টর, সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের জন্য লাইব্রেরিয়ান, সরকারি ডিগ্রি কলেজের জন্য লাইব্রেরিয়ান- পোস্টের জন্য৷

প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:

তবে WBPSC-র চেয়ারম্যান দেবাশিস বোস বলেন, “আমরা একটা সূচি প্রকাশ করলেও, সবসময় তা মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে, সেটা কিন্তু নয়৷ প্রার্থীরা যাতে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে সেটাই লক্ষ্য৷ তাঁদের সুবিধার জন্যই একটা সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়৷ লকডাউন হওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করেছি সম্ভাব্য তারিখেই পরীক্ষার আয়োজন করতে। কিন্তু লকডাউনের পর এই বিষয়টা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়‌।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে৷ আমরা কোথায় পরীক্ষা নেব? পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবেন কী করে? আমরা শেষ যে সময় সূচি প্রকাশ করেছিলাম, তাতে আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে নভেম্বরের শেষ থেকে পরিবহণ ব্যিবস্থা স্বাভাবিক হবে। এখন ট্রেনও চলতে শুরু করেছে৷ একটু অসুবিধা হলেও পরীক্ষার্থীরা আসতে পারবেন বলেই আমরা আশা করছি৷’’

আরও পড়ুন: একুশের ভোটের আগেই শিক্ষক নিয়োগ, পুলিশে নতুন ৩ ব্যাটেলিয়নের ঘোষণা মমতার

প্রার্থীর পরিচয় যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় অথবা পরীক্ষার হলে একবার মাস্ক খুলতে বলা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে যত জন পরীক্ষার্থী থাকবে তাদের প্রত্যেককে মাক্স পড়তে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ পথ, পরীক্ষার ঘর, টেবিল, চেয়ার, শৌচাগার সবকিছু পরীক্ষার একদিন আগেই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রার্থীরা নিজস্ব স্যানিটাইজারও আনতে পারবেন। তবে তা স্বচ্ছ বোতলে আনতে হবে৷ পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগেই খুলে দেওয়া হবে প্রবেশ পথ৷ ভিতরে ঢুকে সোজা নির্ধারিত ঘরে চলে যেতে হবে প্রার্থীদের৷

Leave a Reply