[ad_1]
এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রবেশের দিন মুখ পুড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের। আসিফ আলির অভব্যতা আলোচনার শীর্ষে উঠেছে। আউট হয়ে তিনি যেভাবে ব্যাট উঁচিয়ে আফগানিস্তানের বোলারকে মারতে গিয়েছিলেন ও তারপর যেভাবে ধাক্কা মারেন তা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি কেউ।
বিশ্ব জুড়ে নেমে এসেছে নিন্দা। তাঁর কড়া শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এই ম্যাচের প্রভাব গিয়ে পড়েছিল গ্যালারিতেও। ম্যাচের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সমর্থকরা।
ভাঙচুর করা হয়েছিল গ্যালারি। শুধু তাই নয়, স্টেডিয়ামের বাইরেও দুই পক্ষের সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। এশিয়া কাপের মত একটি টুর্নামেন্টে যা মোটেও অভিপ্রেত নয়। তার উপর যেখানে পাকিস্তানের মত বড় দল রয়েছে।
এই ঘটনাটি ঘটার পর আসিফ আলিকে চলতি এশিয়া কাপ থেকে ব্য়ান করার দাবিতে সরব হয়েছেন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের CEO শফিখ স্টানিকজাই। তিনি টুইটে বলেন, “আসিফ যেটা করেছে সেটা অসভ্যতা এবং ওকে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচ থেকে ব্য়ান করা উচিত।
সব বোলারের আনন্দ করার অধিকার আছে কিন্তু তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করতে যাওয়া সমর্থনযোগ্য নয়।” এই বিষয়ে মুখ খোলেন পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক শাদাব খান। তিনি বলেন, “এটা পরিস্থিতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। দুই দলই ম্যাচটা জিততে চায় এবং মাঠের ঘটনা মাঠেই মিটিয়ে ফেলা উচিত।”
এই বিষয়টি নিয়ে কেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল পদক্ষেপ নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সমর্থকরা। পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বক্তব্যের জন্য নেটিজেনরা দাবি জানাতে থাকেন।
অবশেষে কিছুটা চাপের মুখে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন PCB প্রধান রামিজ রাজা। তিনি বলেন, “গুন্ডামিকে সমর্থন করা যায় না। ক্রিকেট চায় না এই ধরনের ঘটনা ঘটুক। যেটা হয়েছে সেটাকে আমরা সমর্থন করি না।
আমরা এই ব্যাপারে ICC-কে চিঠি লিখব, আমরা আওয়াজ তুলব, আমাদের প্রশ্ন আছে কিছু সেটা করব। কারণ ছবিগুলো খুব খারাপ। এটা প্রথম নয়, এরআগেও হয়েছে। খেলায় হার জিত আছে। তবে ম্যাচটা দারুণ হয়েছে। আমাদের আবেগটা ধরে রাখতে হবে। পরিবেশ ভালো না হলে আগে যাওয়া যাবে না।”
এরপর প্লেয়ারদের সুরক্ষা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। কারণ, স্টেডিয়ামের লড়াই মাঠে এলে সমস্যা হতে পারত বলে তিনি মনে করেন। বলেন, “সমর্থকরা আমাদের।
মাঠে যা কিছু হতে পারত। ক্রিকেটাররা বিপদে পড়ত। আমাদের ছেলেদের ক্ষতি হতে পারত। তবে নিয়ম যা আছে তা মানব। আমরা আমাদের সমস্যা ICC-র সঙ্গে ভাগ করে নেব।”
[ad_2]