[ad_1]
একটা সময় ছিল যখন চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবকে ভারতীয় দলের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হত। কিন্তু এখন কুলদীপ এখন ভারতীয় ক্রিকেটের মুলস্রোতের বাইরে।
প্রকৃত অর্থে, মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসর নেওয়ার পরেই কুলদীপের কেরিয়ারের অবক্ষয় শুরু হয়েছিল। আসন্ন এশিয়া কাপেও ভারত স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়নি। এই অবহেলিত চায়নাম্যান একসময় অভিমানে অবসর নিতে বাধ্য হতে পারে ভারতীয় দল থেকে।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কুলদীপ যাদবকে দলে রাখা হয়নি। নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও তাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর থেকে কুলদীপের পারফরম্যান্সেও ধার কমেছে। কুলদীপের বোলিংয়ে আর পাওয়া যায় না আগের সেই উজ্জ্বলতা। কুলদীপ যাদব ভারতীয় দলের হয়ে ২৩ টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন,
যেখানে তিনি ১৪.২১ গড়ে এবং ৭.১৫ ইকোনমি রেটে ৪১ টি উইকেট নিয়েছেন। তার সেরা বোলিং ফিগার ৫/২৪। ২০১৮ সালে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সময় তিনি এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সটি করেছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে, কুলদীপ জানিয়েছিলেন যে কীভাবে তিনি মাঠে এবং মাঠের বাইরে মহেন্দ্র সিং ধোনির পরামর্শর অভাব বোধ করেন। কুলদীপ বলেছিলেন যে উইকেটের পিছনে ধোনির পরামর্শ তাঁর বোলিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ছিল।
এবং তিনি আজ সেই দিনগুলোকে মিস করেন। কুলদীপ আরও বলেছিলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে মাহি ভাইয়ের পরামর্শের খুব অভাব অনুভব করি। তার অগাধ অভিজ্ঞতা ছিল।
উইকেটের পেছন থেকে তিনি আমাদের মতো বোলারদের পথ দেখাতেন। অনেকেই মনে করেন যে কুলদীপ যাদবই হল সেই কারণ। যার জন্য কোহলি এবং অনিল কুম্বলের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরের সময় অধিনায়ক কোহলি এবং প্রাক্তন কোচ কুম্বলের মধ্যে বিবাদ ছিল।
আসলে, সিরিজের তৃতীয় টেস্টে কুম্বলে চেয়েছিলেন কুলদীপ যাদবকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হোক, কিন্তু কোহলি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ধর্মশালা টেস্টের সময় এই বিতর্ক হয়েছিল। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা সকলেরই জানা।
[ad_2]