[ad_1]
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে উত্তেজক জয় দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে ভারত। সেই সুবাদে সুপার ফোরের পথে এক পা বাড়িয়ে রেখেছেন রোহিত শর্মারা। খাতায় কলমে এখনও গ্রুপের তিন দলেরই পরের রাউন্ডে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তাই হংকংয়ের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচকে গুরুত্বহীন বলা যাবে না কোনওভাবেই। হংকং কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই টিম ইন্ডিয়া তাদের হালকা চালে নিলে ফল ভুগতে হতে পারে।
মুর্তাজাকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন নিজাকত খান। বোলিং শুরু করেন ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় বলে ২ রান নিয়ে খাতা খোলেন নিজাকত। প্রথম ওভারে ৪ রান ওঠে।
দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন অর্শদীপ সিং। তিনি ওভারের শেষ বলে আউট করেন মুর্তাজাকে। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ৯ রান করে আবেশ খানের হাতে ধরা পড়েন মুর্তাজা। হংকং ১২ রানে ১ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন বাবর হায়াত।
তৃতীয় ওভারে ভুবির বলে ১টি ছক্কা মারেন বাবর। চতুর্থ ওভারে বল করতে আসেন জাদেজা। তিনি মোটে ৩ রান খরচ করেন। চার ওভারে হংকংয়ের স্কোর ১ উইকেটে ২২ রান।
পঞ্চম ওভারে আবেশ খানের বলে ১টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন বাবর হায়াত। ওভারে ১২ রান ওঠে। ষষ্ঠ ওভারে অর্শদীপের বলে ২টি চার মারেন বাবর। ১টি চার মারেন নিজাকত।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ বল করতে এসে ওভার স্টেপ করেন অর্শদীপ। ফলে ফ্রি-হিট পেয়ে যায় হংকং। তবে অতিরিক্ত সেই বলেই রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন নিজাকত। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ১০ রান করেন নিজাকত। হংকং ৫১ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন কিঞ্চিত শাহ।
সপ্তম ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তিনি ৩ রান খরচ করেন নিজের প্রথম ওভারে। অষ্টম ওভারে বল হাতে নেন জাদেজা। তিনি ৪ রান খরচ করেন। ৮ ওভারে হংকংয়ের স্কোর ২ উইকেটে ৫৮ রান। ২৪ বলে ৩৩ রান করেছেন বাবর হায়াত।
প্রথম ১০ ওভারে হংকং ২ উইকেটে ৬৫ রান সংগ্রহ করেছে। সুতরাং জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে তাদের দরকার ১২৮ রান। বাবর হায়াত ৩১ বলে ৩৭ রান করেছেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন।
১১.১ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আবেশ খানের হাতে ধরা পড়েন বাবর হায়াত। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৪১ রান করে আউট হন বাবর। হংকং ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন এজাজ খান। ১২ ওভারে হংকংয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ৭৮ রান। জাদেজা ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন।
১৩তম ওভারে বল করতে এসে ১৩ রান খরচ করেন আবেশ খান। ১টি চার মারেন এজাজ খান। ১টি ছক্কা মারেন কিঞ্চিত শাহ। ১৩ ওভার শেষে হংকংয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ৯১ রান। ১৯ রানে ব্যাট করছেন কিঞ্চিত।
১৫তম ওভারে দলগত ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় হংকং। সেই ওভারের পঞ্চম বলে এজাজকে বোল্ড করেন আবেশ খান। এজাজ ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৪ রান করেন। হংকং ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন জীশান আলি। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে হংকংয়ের দরকার ৮৭ রান।
শুরুর দিকে প্রায় নিয়মিতই বোলিং করতেন বিরাট কোহলি। মাঝে পার্টটাইমার হিসেবেও খুব বেশি বল হাতে নিতে দেখা যায়নি কোহলিকে। অবশেষে হংকংয়ের বিরুদ্ধে ইনিংসের ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন বিরাট।
তিনি মোটে ৬ রান খরচ করেন। ১৭ ওভার শেষে হংকংয়েক স্কোর ৫ উইকেটে ১১৫ রান। জয়ের জন্য ৩ ওভারে ৭৮ রান দরকার তাদের।
১৭.১ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে পরিবর্ত ফিল্ডার রবি বিষ্ণোইয়ের হাতে ধরা পড়েন কিঞ্চিত শাহ। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন কিঞ্চিত।
হংকং ১১৬ রানে ৫ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন স্টক ম্যাকেচনি। ১৮ ওভারে হংকংয়ের স্কোর ৫ উইকেটে ১১৯ রান। জয়ের জন্য ২ ওভারে ৭৪ রান দরকার তাদের।
খারাপ বোলিং আবেশ খানের। নিজের ৪ ওভারের বোলিং কোটায় ১টি উইকেট নিলেও ৫৩ রান খরচ করেন আবেশ। ১৯তম ওভারে তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা হজম করনে।
ওভারে মোট ২১ রান ওঠে। ১৯ ওভার শেষে হংকংয়ের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪০ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৫৩ রান দরকার হংকংয়ের। স্কট ১৪ ও জীশান ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
শেষ ওভারে অর্শদীপের বলে ২টি চার মারেন জীশান। ভারতের ২ উইকেটে ১৯২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে হংকং ৫ উইকেটে ১৫২ রানে আটকে যায়। ৪০ রানে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার ফোরে প্রবেশ করেন রোহিতরা
[ad_2]