[ad_1]
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভরাডুবি তিনি দেখেছেন। টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদেশে কিংবা বড় ইভেন্টে এখনও জয়ের মুখ দেখেননি।
রাহুল দ্রাবিড় বেশ ভালই জানেন এশিয়া কাপের মতো আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারকাখচিত দলের পারফরম্যান্স খারাপ হলে তাঁর দিকে আঙুল উঠবেই।
আর তাই সাতপাঁচ ভেবেই এই আইসিসি ইভেন্টের অনেক আগে রোহিত শর্মা -বিরাট কোহলিদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যেতে চাইছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ।
গত বছরের মতো এ বারও পাকিস্তানের রুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নের বাইশ গজের যুদ্ধে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
এর আগে ১৭ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া ও ১৯ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তবে শোনা যাচ্ছে রাহুল নাকি বিসিসিআই-এর কর্তাদের কাছে আবেদন করছেন,
ঋষভ পন্থ -জসপ্রীত বুমরাদের যেন আরও কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সুত্র মারফত খবর অনুসারে ভারতীয় দল যাতে আরও তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে সেইজন্য বোর্ডের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা বলেছেন, ‘আইসিসি দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে।
এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা যায় কি না সেটা নিয়ে কয়েকটি দলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সেটা মাথায় রেখে ৫ অক্টোবর কোচ দ্রাবিড় ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে ভারতীয় দল।’
ফলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে ‘ডনের দেশ’-এ উড়ে যেতে পারে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। ৪ অক্টোবর ইন্দোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ অক্টোবর দলবল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন কেএল রাহুল-সূর্য কুমার যাদবরা। মূল স্কোয়াড ছাড়াও
বিমানে উঠবেন নেট বোলার এবং স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটাররা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে ৯ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া রওনা দিয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতের।
এই প্রথম চারজন স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটারকে নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে ভারতীয় দল। মহম্মদ সামি এবং দীপক চাহারের মূল দলে প্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল।
সে ক্ষেত্রে এই জোরে বোলারকে দলের সঙ্গে প্রয়োজন। সামি বর্তমানে কোভিডে আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে ফিট হয়ে যাবেন তিনি।
রাহুল এবং সহকারী কোচ পারস মাম্বরের অধীনে ‘স্ট্যান্ড বাই’ ক্রিকেটাররা অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। যাতে কেউ চোট আঘাত পেলে তৎক্ষণাৎ ডেকে নেওয়া যেতে পারে।
[ad_2]