ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে কী উদ্যোগ নিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই? জেনে নিন নতুন এই নিয়ম

ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে কী উদ্যোগ নিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই? জেনে নিন নতুন এই নিয়ম
Rate this post

[ad_1]

এক্স ফ্যাক্টর’ নামে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে একটি নিয়ম চালু আছে। সেই নিয়মে প্রতিটি দল প্রথম ইনিংসের ১০ ওভারের আগে প্লেয়িংএকাদশের ১১ বা ১২ নম্বর প্লেয়ারকে ব্যবহার করতে পারে।

ক্রিকেট অনুরাগীদের ‘সুপার সাব’ শব্দটা নিশ্চয়ই মনে আছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ২০০৫ সালের দিকে এই নতুন নিয়ম চালু করেছিল আইসিসি।

তবে সেটা খুব বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। যদিও সেই ‘সুপার সাব’ নিয়মকে আরও একটু ঘষামাজা করে একটি নতুন নিয়ম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছে বিসিসিআই।

সুত্র মারফত খবর অনুসারে নতুন নিয়মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। শোনা যাচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতা থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হতে পারে। এই নিয়ম সাফল্য পেলে ২০২৩ সালের আইপিএল-এ ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের অন্তর্ভুক্তি হয় কিনা সেটাই দেখার।

এ বার জেনে নেওয়া যাক ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মটি কেমন?

১) এই নিয়মের ফলে প্রতিটি ম্যাচে দুটি দল ১১ নয়, বরং ১৫ জন ক্রিকেটার প্লেয়িং একাদশে জায়গা করে নিতে পারবেন। ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি হাত ধরেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ চলাকালীন প্লেয়িং একাদশে যে কোনও একজন ক্রিকেটার পরিবর্তন করা যাবে।

২) এর জন্য টসের সময় ১১ জনের সঙ্গে বাকি চার অতিরিক্ত ক্রিকেটারের নাম দিতে হবে দুই দলের অধিনায়ককে। অর্থাৎ এই ১৫ জন ক্রিকেটারকে ম্যাচ খেলার অধিকার দেবেন ম্যাচ কমিশনার।

৩) এই চার অতিরিক্ত ক্রিকেটারের মধ্যে যে কোনও এক জনকে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিঃসন্দেহে এটি অভিনব ধারণা।

৪) প্রতিটি দল উভয় ইনিংসের ১৪তম ওভারের আগে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ ব্যবহার করতে পারবে। ১৪তম ওভারের আগে প্লেয়িং একাদশের ১১ বা ১২ নম্বর প্লেয়ারকে ব্যবহার করতে পারে।

তবে এমন ক্রিকেটারদের বদলানো যাবে, যারা এক ওভারের বেশি ব্যাট বা বোলিং করতে পারবে না। ফলে একটি ম্যাচ চলাকালীন উভয় দলই একজন প্রভাবশালী খেলোয়াড়কে একবার ব্যবহার করতে পারে। এতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

৫) একজন ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ শুধুমাত্র একাদশের বাইরে থেকে হতে পারে এবং আউট হওয়া ব্যাটারের বদলিও হতে পারে।

অধিনায়ক, টিম ম্যানেজার বা প্রধান কোচ চতুর্থ আম্পায়ারকে, উইকেট পতনের সময় বা ইনিংস বিরতিতে, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর পরিচিতি সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। তবে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ ক্রিজে আসার পর যে ক্রিকেটার আউট হবেন, তাঁকে আর পুরো ম্যাচে ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামতেও পারবেন না তিনি।

৬) যদি বোলারের জায়গায় একজন প্রভাবশালী ক্রিকেটারকে বদলে ফেলা যায়, সে ক্ষেত্রে যে বোলারকে তুলে নেওয়া হচ্ছে, তিনি ম্যাচে কত ওভার বোলিং করেছেন, সেটি ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর উপর কার্যকর হবে না। অর্থাৎ ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ পুরো চার ওভার বল করতে পারবেন।

৭) তবে ম্যাচ চলাকালীন কোনও ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করা হলে, তাঁর জায়গায় ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ ব্যবহার করা যাবে না।

শোনা যাচ্ছে বিসিসিআই এই বিষয়ে একটি সার্কুলার পাঠিয়েছে সমস্ত রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনকে। এর ফলে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটটি আরও আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। একটি ম্যাচ চলাকালীন উভয় দলই একজন প্রভাবশালী খেলোয়াড়কে একবার ব্যবহার করতে পারে।

বোর্ড সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চালু করা হবে এই নতুন নিয়ম। এই নিয়ম জনপ্রিয় হলে আগামি বছর আইপিএল-এ ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ দেখা যেতে পারে।

‘এক্স ফ্যাক্টর’ নামে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে একটি নিয়ম চালু আছে। সেই নিয়মে প্রতিটি দল প্রথম ইনিংসের ১০ ওভারের আগে প্লেয়িংএকাদশের ১১ বা ১২ নম্বর প্লেয়ারকে ব্যবহার করতে পারে।

এমন খেলোয়াড়দের দ্বারা এই প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে, যারা এক ওভারের বেশি ব্যাট বা বোলিং করে না। বিসিসিআই-এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, উভয় ইনিংসের ১৪তম ওভারের আগে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ ব্যবহার করা যাবে। এখন এই নতুন নিয়ম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে কতটা আকর্ষণীয় করে তোলে সেটাই দেখার।

[ad_2]

Leave a Reply