[ad_1]
গত কয়েকবছর IPL-এ ভালো পারফরমেন্স করতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২০২২ সালে তারা শেষ স্থানে থেকে IPL অভিযান শেষ করে, দলগত ব্যর্থতা দেখা গেছে পাঁচবারের IPL জয়ী দলকে।
এই পরিস্থিতিতে দলের কোচিং ইউনিটে একাধিক বদল আনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেখানে সবথেকে বড় পরিবর্তন হল প্রধান কোচে। মাহেলা জয়বর্ধনেকে সরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন কোচ মার্ক বাউচারকে দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
অন্যদিকে মাহেলা জয়বর্ধনেকে করা হয় গ্লোবাল হেড অফ পারফরমেন্স পদে। জাহির খান আগে ছিলেন ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অপারেশন পদে, তাঁকে দেওয়া হয়েছে গ্লোবাল হেড অফ ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টের পদ।
গত সোমবার মার্ক বাউচার দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। জানান টি-২০ বিশ্বকাপের পর তিনি দলের দায়িত্ব ছাড়বেন।
এরপর মনে করা হয়েছিল তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যোগ দিতে পারেন, অবশেষে সেটাই হল। রোহিতদের নতুন কোচ হলেন তিনি।
সম্প্রতি কেপ টাউন ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য কোচ ঘোষণা করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রধান কোচ করা হয় সাইমন কাটিচকে ও ব্যাটিং কোচ করা হয় হাসিম আমলাকে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে যোগদানের ব্যাপারে রিলায়েন্স জিওর চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি বলেন, “মার্ক বাউচারকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে স্বাগত জানাই। মাঠ ও কোচে ওর অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে। ওর একাধিক সাফল্যের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাব।
মার্ক দলের সাফল্য এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।” মার্ক বাউচার মুম্বইয়ে যোগ দিয়ে বলেন, “মুম্ব ইন্ডিয়ান্সের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দিতে পেরে গর্বিত।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজির যেই ইতিহাস আছে ও এরা যা সাফল্য পেয়েছে তাতে এটা বিশ্ব ক্রিকেটে সবথেকে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়েছে। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি এবং দলকে ভালো ফল দিতে বদ্ধপরিকর। দল শক্তিশালী, দলের নেতৃত্ব শক্তিশালী।”
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ভারত মোট ৬টা টি-২০ ম্যাচ খেলবে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিজের ঘরের মাঠে সিরিজ আছে ভারতের। সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কারণ এই সিরিজে ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। এবারের এশিয়া কাপে ভারত একাধিক পরীক্ষা করেছে দলে। প্রথম একাদশে একাধিক বদল এসেছে। তাতে দল সেট হতে পারেনি।
এছাড়া নতুনদের নিয়ে দল করলেও দলে পুরনো প্লেয়ারদের আনাটাও দরকার। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ পরিবর্তন করা দরকার রোহিতদের।
ফিটনেস টেস্টে পাশ করেছেন জসপ্রীত বুমরাহ ও হর্ষল প্যাটেল। তাদের ম্যাচ ফিট করে তোলা এখন প্রধান কাজ। যত দ্রুত এই দুজন ফিট হবেন তত দলের পক্ষে লাভ। এশিয়া কাপে এই দুজনের অভাব দেখা গেছে।
প্রধান উইকেটরক্ষক কে হবে সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে একটা বল না খেলেও দীনেশ কার্তিক পরের ম্যাচ থেকে বাদ পড়েন।
শেষে ম্যাচে আবার দুজনেই ছিলেন। এক্ষেত্রে দলে ভারসাম্য আনতে হবে। দুজনের খেলার ধরন আলাদা হওয়ায় সেটা মাথায় রাখতে হবে রাহুল রোহিতদের।
রবীন্দ্র জাদেজা হাঁটুর চোটের জন্য বাইরে। তাঁর বিকল্প দরকার। তাঁর মত বাঁহাতি অলরাউন্ডারের বিকল্প কে হতে পারেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে অক্ষর প্যাটেলের নাম আসছে। তবে তাঁর উপর এশিয়া কাপে ভরসা করেনি ম্যানেজমেন্ট।
টপ অর্ডারে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল রান পেলেও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে। যার ফলে টপ অর্ডার আউট হলে মিডল অর্ডাররা কোনও সাপোর্ট দিতে পারছে না। বিশ্বকাপের আগে এটা ঠিক করতে হবে।
মার্ক বাউচারের হাত ধরে আগামী মরশুমগুলোতে ঘুরে দাঁড়াবে মুম্বই। এমনটাই আশাবাদী দলের কর্তারা। আগামী বছর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন জোফ্রা আর্চার।
তাঁর সঙ্গে জসপ্রীত বুমরাহর জুটি বিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর হতে চলেছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এই কারণেই জোফ্রা আর্চারকে দলে নেওয়া হয় গত মেগা নিলামে। যদিও ২০২২ সালের IPL তিনি খেলতে পারেননি। তবে তিনি যোগ দিলে দলের শক্তি আরও বাড়বে।
[ad_2]