[ad_1]
ইডেন গার্ডেন্স জানে তাঁর সবকিছু। ২০০১ সালে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে স্টিভ ওয়ার অশ্বমেধের ঘোড়া অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের ভারত।
আর তার প্রধান কারিগর ছিলেন হরভজন সিং। তাঁর হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে অজিদের হারায় ভারত। সেই শুরু, এরপর ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টেও ভারতের জয়ের কারিগর ভাজ্জি।
আর অধিনায়ক সৌরভের প্রশংসা তো হরভজনের মুখে সর্বত্র। খেলা ছেড়ে দিলেও ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনারের আবেগ রয়েছে। সেটা ফের একবার প্রমাণ হল। লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের বিশেষ ম্যাচের শেষে তিনি ইডেন গার্ডেন্স ও সৌরভের প্রতি বক্তব্য রাখলেন।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের বিশেষ প্রদর্শনী ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাস দলের হয়ে নামেন হরভজন। ভাজ্জি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন বিপক্ষ অধিনায়ক জ্যাক কালিসের উইকেট।
এই ম্যাচে জ্যাক কালিসের দলকে হারিয়ে দেয় ভাজ্জির দল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “এটা বোধ হয় ইডেন এফেক্টের জন্য। ইডেন আমাকে কখনও খালি হাতে ফেরায়নি। সেকারণেই এখানে ফিরে এসে ভালো লাগছে। তার উপর এই ম্যাচ জেতার ভালো লাগা রয়েছে।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে ট্রফি নেওয়ার সময় তিনি সৌরভকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে এই ট্রফি নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কারণ, দাদার জন্যই আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে।”
দীর্ঘদিন পর মাঠে নামলেও ফর্ম নিয়ে তিনি বেশি ভাবিত নন বলে জানান। তবে বর্তমানে ধারাভাষ্য করায় চিন্তায় থাকেন চোট আঘাত নিয়ে। তাই প্রাক্তন প্লেয়ারদের ফর্মে থাকতে আরও বেশি সংখ্যক ম্যাচের দাবি জানান তিনি।
শুক্রবার রাতে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে ৬ উইকেটে হারায় বীরেন্দ্র সেওয়াগের দল। ৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারতের প্রাক্তনীদের নিয়ে গড়া দল। ৩৫ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ইউসুফ পাঠান।
তারমধ্যে রয়েছে ৫টি চার এবং ২টি ছয়। শেষদিকে নেমে ধুন্ধুমার ব্যাটিং আরেক পাঠান ভাইয়ের। তিনটে ছক্কা হাঁকান। ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ইরফান। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস।
দুই পাঠানের যুগলবন্দিতে ৪ উইকেট খুইয়ে ১৮.৪ ওভারেই জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় ইন্ডিয়া মহারাজাস। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা পঙ্কজ সিং।
[ad_2]