[ad_1]
পেয়ারা বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। কম ক্যালোরির এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান করে এই ফল।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর তথ্য অনুসারে, একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় মাত্র ৬৮ ক্যালোরি ও ৮.৯২ গ্রাম চিনি ও ১৮ গ্রাম খনিজ থাকে।
এছাড়া এতে আছে ২২ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম ৪০ গ্রাম। দিনে একটি পেয়ারা খেলে আপনি কী কী উপকার পাবেন, তা জেনে নিন-
>> কমলালেবুর চেয়েও পেয়ারায় চারগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। যা ইমিউনিটি বাড়ায়। ফলে সাধারণ সংক্রমণ ও প্যাথোজেন থেকে সুরক্ষা মিলবে। তাছাড়া এটি আপনার চোখের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়।
>> ওজন কমাতে যারা কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেন, তারা খেতে পারেন পেয়ারা। এই ফলে থাকে মাত্র ৩৭ ক্যালোরি ও প্রচুর ফাইবার। এমনকি এর মধ্যে থাকে ভালো পরিমাণে প্রোটিন।
জানেন কি, এই প্রোটিন ও ফাইবার অনেকটা সময় লাগে হজম হতে। ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি মেলে। এ কারণে এটা সেটা আর খেতে ইচ্ছে করবে না। ফলে ওজন কমবে দ্রুত।
>> পেয়ারায় থাকা ফাইবার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এই ফাইবার আপনার অন্ত্র থেকে খুব সহজে বেরিয়ে যেতে পারে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
>> গর্ভবতী নারীর জন্যও খুব উপকারী হলো পেয়ারা। কারণ এতে থাকে ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি ৯। যা গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করে ও নবজাতককে স্নায়ুবিক ব্যাধি থেকে রক্ষা করে।
>> ফাইবার হজমে সাহায্য করে। তাই পেয়ারা খেলে হজম ভালো হবে তা তো বুঝতেই পারছেন!
>> পেয়ারায় সুগারের পরিমাণ কম থাকে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীও দৈনিক একটি করে পেয়ারা খেতে পারেন।
>> এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম শরীরের পেশি ও স্নায়ুকে শিথিল করতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত চাপে থাকলে একটি পেয়ারা খেতে পারেন।
>> পেয়ারায় আছে অনেক ভিটামিন ও খনিজ। এমনকি অ্যান্টি অক্সিডেন্টেও ভরপুর এই ফল। শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল দূর করতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভূমিকা রাখে।
>> লাইকোপিন, কোয়ারসেটিন, ভিটামিন সি ও অন্যান্য পলিফেনলে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উত্পন্ন ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে। ফলে ক্যানসার কোষ বাড়ে না।
এ বিষয়ে ভারতের সুখদা হাসপাতালের ডা. মনোজ কে. আহুজা জানান, ‘পেয়ারায় থাকা লাইকোপিন প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।’
>> পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের ভারসাম্য উন্নত করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেয়ারা ট্রাইগ্লিসারাইড ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যা হৃদরোগের জন্য দায়ী। এই জাদুকরী ফল ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
[ad_2]