[ad_1]
ফের ব্যর্থ হল ব্যাটিং লাইন আপ। যার জেরে এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারতে হল ভারতকে। ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড।
ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসার পর একদিনের সিরিজে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল। টানা চার ম্যাচ হারের পর অবশেষে সোমবার ঘুরে দাঁড়ালেন ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরালেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর রোহিত শর্মা যথারীতি একই রকম অজুহাত ঘ্যানঘ্যান করে দিয়েছেন। ভারতের ব্যাটিং লাইন আফ ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি শেষ ওভারে আবেশ খানকে বল করতে পাঠানো নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল। অনভিজ্ঞ আবেশকে বল তুলে দেওয়া হলে, প্রথম বলটি তিনি নো করেন। পরের ২টি বলে যথাক্রমে ৬ আর ৪ হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আবেশ সামান্য কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
ব্যাটিং ব্যর্থতা
ভারতের হয়ে কেউ হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি সোমবার। সর্বোচ্চ রান করেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁর সংগ্রহ ৩১। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। ৪০ রানে ৩ উইকেট আর ৬১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। রোহিত শর্মা (০), সূর্যকুমার যাদব (১১), শ্রেয়স আইয়ার (১০) প্রথম তিন ব্যাটার একেবারে ল্যাজেগোবরে হন।
পন্ত হাল ধরার চেষ্টা করলেও, ২৪ রানে আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রবীন্দ্র জাদেজার ২৭। অশ্বিন ১০ করেছেন। বাকিদের স্কোর দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়নি। যার জেরে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১৩৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। ওবেদ ম্যাকয়ে একাই ৬ উইকেট তুলে নেন।
রোহিত ম্যাচের পর বলেছেন, ‘এটা স্কোরবোর্ডে আমাদের জন্য যথেষ্ট রান ছিল না। আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। যদিও এই পিচে ভালো খেলা যাচ্ছিল। কিন্তু আমরাই খেলতে পারিনি। আমি বারবার বলে থাকি, যখন ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে কিছু চেষ্টা করা হয়, তখন সব সময় যে কার্যকর হবে, তা কিন্তু নয়। আমরা আমাদের ভুলগুলি বোঝার চেষ্টা করব এবং সেগুলি সংশোধন করার চেষ্টা করব।’
শেষ ওভারে কেন আবেশ?
আবেশকে শেষ ওভারে বল দেওয়া নিয়ে রোহিতের যুক্তি, ‘এটি সবই সুযোগ দেওয়ার বিষয়। আমরা ভুবনেশ্বরকে জানি, ও কী করতে পারে, জানি। কিন্তু আপনি যদি আবেশ বা আর্শদীপকে সুযোগ না দেন, তাহলে ভারতের হয়ে ডেথ ওভারে বল করার মানে কী, সেটা ওরা কখনও-ই বুঝে উঠতে পাবে না। আইপিএলে ওরা সেটা করেছে। শুধু একটি ম্যাচের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। ওদের সমর্থন এবং সুযোগ প্রয়োজন।’
[ad_2]