[ad_1]
যুক্তি বলে, ধার ও ভার যা-ই হোক না কেন, যে কোনও খেলাতেই দু’পক্ষেরই সমান সমান সুবিধে থাকা উচিত। মরুশহরের ক্রিকেট বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কারণ, শিশির। টস জিতলে যে কোনও ক্যাপ্টেন চোখ বুজে ফিল্ডিং নেবেন, স্বাভাবিক।
কারণ, দুবাইয়ের সময়ে ম্যাচ শুরু সন্ধে ছটা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সাড়ে সাতটা। ওই সময়টা শিশির তেমন পড়ে না। ফলে আগে যে টিম বল করছে, তাদের বল গ্রিপ করার ক্ষেত্রে অসুবিধে হয় না।
কিন্তু পরে বোলিং করবে যে টিম, সেই টিম যখন বোলিং শুরু করবে, তখন শিশির পড়তে শুরু করবে। ফলে বল গ্রিপ করতে সমস্যা হবে। শিশির নিরোধক স্প্রে থাকবে ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা সুবিধে পরে ব্যাট করা টিমের থাকবে। বল দ্রুত ব্যাটে আসবে, ফলে স্ট্রোক প্লেয়ারদের অ্যাডভান্টেজ থাকবে।
দুবাইয়ে উইকেট সাধারণত স্লো। সেটা মাথায় রেখেই রোহিত স্পিন নির্ভর স্ট্র্যাটেজির দিকে ঝুঁকবেন, এটাই প্রত্যাশিত। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতের প্রথম এগারো কেমন হবে?
রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনার রাহুল, তিনে বিরাট। যিনি প্রায় ৪২ দিন পরে নামবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। রবিবারের মরু়যুদ্ধ আবার তাঁর কেরিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি।
কালকের ম্যাচে বিরাটের ব্যাটে রান থাকুক না থাকুক, তিন নম্বরে তাঁর উপস্থিতি পাকিস্তানকে চাপে রাখবেই। বরাবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে সফল বিরাট। ৭ ম্যাচে ৩১১ রান।
ধারে-কাছে কেউ নেই। চার নম্বরে সূর্যকুমার যাদব এই ফর্ম্যাটে আইসিসি ক্রমপর্যায়ে দুই নম্বরে, এই বছরে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪২৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১৮৯.৩৮! পাঁচে ঋষভ (স্ট্রাইক রেট ১২৬.৩২) আর ছয়ে হার্দিক (১৪৪.০৪)।
হার্দিকের উপস্থিতি টিমকে দিচ্ছে সেই ব্যালান্স, যা গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিল না। গত বছর বোলিংটাই করতে পারেননি হার্দিক। এ বার কিন্তু চার ওভার বোলিংয়ের জন্য পুরো ফিট।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সাত নম্বরে কে? দীনেশ কার্তিককে খেলানোর পক্ষে অনেকেই জোরালো সওয়াল করছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত যা খবর, কাল পাকিস্তান ম্যাচে সাত নম্বরে যাবেন জাডেজা।
দীনেশ অবশ্যই দারুণ ফর্মে, ফিনিশার হিসেবেই টিমে। কিন্তু রোহিত যে ধরণের ক্যাপ্টেন, তাতে সিক্সথ বোলার তিনি রাখবেন। সাতে দীপক হুডার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে, কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচে তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আট থেকে এগারো? পাক টিমে দু’জন টপ অর্ডার বাঁ হাতি থাকতে পারেন। ফখর জামান আর খুশদিল শাহ। সে ক্ষেত্রে আটে অফস্পিনার অশ্বিনকে ভাবা যেতে পারে। কিংবা লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই। অশ্বিন বা বিষ্ণোইয়ের মধ্যে একজনকে বাছার সম্ভাবনা।
বাকি তিনজনের মধ্যে দুই পেসার ভুবনেশ্বর ও অর্শদীপ সিং, আর এক স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহল। আবেশ খানকে এই ম্যাচে খেলানোর ঝুঁকি না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ তৃতীয় পেসারের প্রয়োজন হলে হার্দিক থাকছেন। কার্তিক ভাবনার বাইরে নন, কিন্তু এখন টিমের যে ব্যালান্স, তাতে পাকিস্তান ম্যাচে তাঁর ডাগআউটেই বসার কথা।
[ad_2]