[ad_1]
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে হারের পর ভারতের ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন চিহ্নটা প্রকট হয়েছে। একাধিক পরিবর্তন করেও ডেথ ওভারে সমস্যা মেটেনি।
জসপ্রীত বুমরাহর চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া যেই ধাক্কাটাকে আরও বাড়িয়েছে। ম্যাচে বারবার দেখা গেছে নখদন্তহীন বোলিং। শেষ দুটো সিরিজে ডেথ ওভারে ভারতের বোলিং গড় সবথেকে বেশি ১৫.৬।
যারপর বোলিং কোচ পারাস হামব্রের উপর প্রশ্ন উঠছে। দলে একাধিক পরীক্ষা নীরিক্ষার ফলই কি এটা? প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪৯ রানে হার প্রশ্ন বাড়িয়ে দিচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ তে ভারত ডেথ ওভারে দিল ৭৩ রান। গড় ১৪.৬। গত পাঁচটা টি-২০ ম্যাচে ভারত ডেথ ওভারে সবথেকে কম রান দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ তে।
দিয়েছিল মাত্র ৪৩ রান। গড় ৮.৬। প্রায় সব বোলারই ডেথ ওভারে বল করেছেন কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে স্পেশালিস্ট খুঁজে পায়নি ম্যানেজমেন্ট।
এই পরিস্থিতিতে বুমরাহর বেরিয়ে যাওয়াটা বড় ধাক্কার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে হারের পর রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিত শর্মার বক্তব্যে যা ধরা পড়ল।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, “বুমরাহ অনুপস্থিতিতে বড় ক্ষতি, ও বড় প্লেয়ার। ওর জায়গায় খেলতে পারা যেকোনও প্লেয়ারের কাছে বড় সুযোগ।
আমরা ওকে মিস করব, ও গ্রুপের অন্যতম সদস্য়।” পরপর দুটো সিরিজ ২-১ এ জয়ে কিছুটা ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানান রাহুল দ্রাবিড়। তিনি বলেন, “দুটো সিরিজেই আমাদের পক্ষে ফল হওয়ায় দেখতে ভালো লাগছে।
এই ফর্ম্যাটে, ভাগ্য লাগে, জিনিসগুলোকে নিজের পক্ষে হতে দিতে হয়। এশিয়া কাপে আমাদের পক্ষে ছিল না ভাগ্য। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমাদের ভাগ্য সহায় হয়েছে।”
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর জসপ্রীত বুমরাহর পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে এখনও কারও নাম ঘোষণা করেনি বোর্ড। এই লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সামি।
যদিও তিনি কতটা ম্যাচ ফিট তা নিয়ে দ্বিধায় বোর্ড কর্তারাই। অন্যদিকে মহম্মদ সিরাজ অতিরিক্ত রান দিচ্ছেন ও উইকেট পাচ্ছেন না। ফলে বিশ্বকাপে তাঁকে ভরসা করা কঠিন হবে। এই পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড কর্তারা সেইদিকেই নজর থাকবে।
[ad_2]