[ad_1]
৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। শেষ বলে ৩ রান। কাভারে উড়িয়ে মেরেছিলেন নিদা দার। ক্যাচ মিস করে শ্রীলঙ্কা। ২ রান নিলেও টাই হতো। কিন্তু নিদা সময়মতো আসতে পারেননি।
রানআউট হয়েই মাথায় হাত দিয়ে পিচে বসে যান। পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।
এই নিয়ে পঞ্চমবার ফাইনালে উঠেছে তারা। ১৫ অক্টোবর ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। আগের চারবার ভারতের কাছেই হারতে হয়েছে।
সিলেটে টস জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে দ্বীপরাষ্ট্রটি। রান তাড়ায় নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে থামে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পর আরও একটি নাটকীয় ম্যাচে জিতলো লঙ্কানরা। অথচ পাকিস্তান ছিল সঠিক পথেই।
পাওয়ার প্লে থেকে আসে ১ উইকেটে ৪৬ রান। এতেই বোঝা যায় পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দারুণ। উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে মুনিবা আলী (৯ বলে ১৮) আউট হলে বিসমাহ মারুফ-সিদ্রা আমিন হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন।
সেই জুটি ১৬ রানের বেশি করতে পারেনি। সিদ্রা ৯ রানে ফেরেন। এরপর ওমাইমা সোহেলীকে নিয়ে খেলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিসমাহ মারুফ। ওমাইমা ১০ রানে আউট হলে ভাঙে ১৮ রানের সেই জুটি।
এরপরেই বিসমাহ নিদা দারকে নিয়ে এগোতে থাকেন। খেলছিলেন সাবলীলভাবে। ওভার প্রতি রানের সংখ্যা করেছে ওঠানামা। ৪০ বলে ৪২ রান আসে এই জুটি থেকে।
বিসমাহ ৪১ বলে ৪২ রান করে ফিরলে খেলার মোমেন্টাম পরিবর্তন হয়। ক্রিজে এসে আয়েশা নাঈম ফেরেন ৫ বলে ২ রান করে। চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে আর নিতে পারেনি ৯ রান। ২৬ বলে ২৬ রান করে শেষ বলে আউট হন নিদা দার।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ইনোকা রানভিরা। ১টি করে উইকেট নেন সুগান্দিকা কুমারি, কাভিশা দিলহারি নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হার্শিথা সামারাবিক্রমা ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। ওপেনার আনুশকা সঞ্জীবনীর ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সেরা ২৬ রান।
[ad_2]