[ad_1]
গত বছরের শেষের দিকে বিরাট কোহলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি জাতীয় টি-২০ ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন। এরপর তাঁর হাত থেকে একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্বও কেড়ে নেওয়া হয়।
ভারতীয় ক্রিকেটের দুই বড় স্তম্ভ, একজন ‘মহারাজ’ আর অপরজন ‘কিং’। গত বছরের শেষের দিক থেকে সৌরভ এবং বিরাটের দ্বৈরথ আজ আর কারোর অজানা নয়।
অনেকে তো আবার এই অভিযোগও তুলেছেন যে সৌরভের ব্যক্তিগত ইগোর কারণেই নাকি বিরাট কোহলিকে একদিনের ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরতে চলেছেন ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে আরও একটি প্রশ্ন হাওয়ায় ভাসতে শুরু করেছে, মহারাজের বিদায়েই কি প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে অধিনায়ক কিং কোহলির? সেই উত্তর আপাতত সময়ই দেবে।
কী নিয়ে ঝামেলা সৌরভ-বিরাটের?
গত বছরের শেষের দিকে বিরাট কোহলি টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর বোর্ডের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর সৌরভ একটি বিবৃতিতে বলেন, একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কের পদ থেকে বিরাট কোহলিকে সরানোর সিদ্ধান্তটা বিসিসিআই এবং নির্বাচকমণ্ডলী একসঙ্গে গ্রহণ করেছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে বিরাট কোহলিকে টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে মানা করা হয়েছিল।
কিন্তু, সেকথা কানে তোলেননি বিরাট। সৌরভ তো একথাও বলেছিলেন যে তিনি নিজে বিরাট কোহলির সঙ্গে টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব না ছাড়া নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, কাজের চাপের দোহাই দিয়ে বিরাট তা ছেড়ে দেন।
এরপর বিরাট সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন যে টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে সৌরভের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। তিনি বলেন,
‘আমি যে টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ব, এটা সবার আগে বোর্ডকেই জানিয়েছিলাম। বিসিসিআই আমার এই সিদ্ধান্ত খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছিল।
কারোর কোনও সমস্যা ছিল না। আমাকে অধিনায়কত্ব না ছাড়ার ব্যাপারে কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। বরং আমার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা হয়েছিল।’ এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর সৌরভকে নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল।
এরপর বিরাটের হাতে ছিল শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন্সি। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরাজয়ের পর বিরাট নিজে থেকেই টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। এরপর রোহিত শর্মার হাতেই ক্রিকেটের তিনটে ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয়।
তবে অধিনায়ক হওয়ার পর যে রোহিত শর্মার মারকাটারি সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কথা কিন্তু একেবারেই বলা চলে না। এশিয়া কাপ তাঁর সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই মঞ্চে ভারতীয় ক্রিকেট দল মুখ থুবড়ে পড়ে।
এবার সামনে টি-২০ বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে ভারত যদি সাফল্য পায়, তাহলে তো ভালোই। আর যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে কি বিরাট কোহলিকেই আবার অধিনায়কের পদে বসানো হবে? উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষা করতেই হবে।
[ad_2]