[ad_1]
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা জায়গা যেখানে ভাইরাল হতে কোনরকম জনপ্রিয়তা লাগেনা। আপনারা যদি একটু ট্যালেন্টের অধিকারী হন তাহলে খুব সহজে সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়তা পেয়ে যাবেন।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতীদের ডান্স ভিডিও, মজার মজার ভিডিও তুমুল ভাইরাল হতে থাকে। এই সমস্ত ভিডিও আমাদের সত্যিই অবাক করে দেয়।
এই ভিডিও দেখে আমরা অনেক সময় অনুপ্রাণিত হই।আবার অনেক সময় যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখন এই সমস্ত ভিডিও আমাদের মন ভালো করে দিতে সাহায্য করে।
তাই বলে যেতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উঠে এসেছে যা এতদিন হয়তো ছিল না।
আবার কখনো এই সমস্ত জীব জন্তুদের ঘটানো নানান রকমের কাণ্ডকারখানা। আগেকার দিনে এইসব জিনিস দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হতো টেলিভিশনের পর্দায়, বা রেডিয়োয়।
বেশি কিছু নয় এখন হাতের কাছে একটা মোবাইল ফোন থাকলেই সমস্ত বিশ্ব নিমেষের মধ্যে হাতের মুঠোয় চলে আসে। ক”রোণা ভাই”রাসের কারণে বিগত প্রায় বছর দুয়েক সময় ধরে দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে তেমনি সরকারি ক্ষেত্রেও দুর্বল হয়ে পড়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
যার ফলস্বরূপ উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও অনেক যুবক-যুবতী বেকার হয়ে রয়েছেন। অনেকে ব্যবসার দিকে ঝুঁকলেও উপযুক্ত মূলধন এবং বুদ্ধির অভাবে নানান ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজের সংসার চালাতে এবং অর্থ উপার্জন করতে একেবারে নতুন পথ অবলম্বন করলেন কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শিম্পি সাহা। প্রথমেই জানিয়ে রাখি শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে স্নাতকোত্তর অর্থাৎ এমএ পাস করেছেন তিনি। পাশাপাশি কম্পিটিটিভ এক্সামের জন্য পড়াশোনা করেছিলেন শিম্পি। কিন্তু বরাবর থেকেই তার ব্যবসার দিকে ঝোঁক ছিল।
আর এই ইচ্ছা থেকেই স্নাতকোত্তর পাস করার পরেও গত ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি ফুচকার ব্যবসা শুরু করেছেন। শক্তিনগর থেকে দোগাছির রাস্তা ধরে এগোলে কাঠালতলা শনি মন্দির এর ঠিক উল্টো দিকে একটি ছোট দোকান দেখতে পাওয়া যাবে। এটিই শিম্পির ফুচকার দোকান। ইতিমধ্যেই এই যুবতীর এই অভিনব উদ্যোগ দেখে সকলে অবাক হয়ে গিয়েছেন। শিম্পি জানিয়েছেন তার এই উদ্যোগে পাড়াপড়শি থেকে শুরু করে পরিবার সকলেই খুশি হয়েছে। অনেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে তার দোকানে ফুচকা খেতে এসেছেন। যুবতী আরও জানিয়েছেন যদি তার এই ব্যবসা ভালো ভাবে চলে সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তার একটি ক্যাফে খোলার ইচ্ছা রয়েছে। এমএ পাস করার পরেও যেভাবে ফুচকার স্টল করে এগিয়ে চলেছেন এই যুবতী তাতে তার সাহসী উদ্যোগকে সকলে জানিয়েছেন কুর্নিশ।
[ad_2]