[ad_1]
১০০ তম আন্তর্জাতিক টি-২০ তে বড় রান আসেনি বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। লম্বা ছুটি নিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলেও, ৩৫ রানে আটকে যেতে হয় তাঁকে। একই অবস্থা রোহিত শর্মারও। কেএল রাহুল খাতাই খুলতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রাক্তন ও বর্তমান অধিনায়কের শট নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কর।
তরুণ বোলার নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে প্রথমে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর বিরাট ও রোহিত দলের হাল ধরলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যদিও বিরাটের ৩৫ রান হতে পেরেছে কিছুটা ভাগ্যের জোরে। তার প্রধান কারণ পাকিস্তানে খারাপ ফিল্ডিং।
দুই তারকার খারাপ ব্যাটিং নিয়ে গাভাস্কর বলেন, “রাহুল মাত্র একটা বল খেলেছে, ফলে সেটা থেকে কিছু বিচার করা যায় না। রোহিত ও কোহলির কাছে সুযোগ ছিল, কারণ ওঁরা কিছু বল খেলেছিল, রানও পেয়েছিল।
এর আগে সবাই কোহলির ফর্ম নিয়ে কথা বলছিল, আমি আগেই বলেছিলাম ওঁর ভাগ্যে নেই। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ওঁর ভাগ্য ছিল, ক্যাচ মিস হয়েছে, একাধিক ইনসাইড এজ হয়েছে, যেগুলো স্টাম্পের খুব কাছে ছিল। ওঁর ভাগ্য সহায় ছিল, কিন্তু কয়েকটা ভালো শট খেলেছে।”
তবে বিরাটের ভাগ্য থাকলেও সেক্ষেত্রে আরও বেশি রান তাঁর থেকে আশা করেছিলেন গাভাস্কর। তিনি বলেন, “তবে ওঁ যে শুরুটা পেয়েছিল, তাতে ওঁকে অন্তত ৬০-৭০ রান করতে হত।
কিন্তু ওঁ রোহিতের পরেই আউট হয়। দুজনেই অপ্রত্যাশিত শট খেলে আউট হয়। ওই পরিস্থিতিতে সেরকমের শট খেলার কোনও দরকার ছিল না। ক্রিজে টিকে রান করে তারপর বড় শট খেলা উচিত ছিল। এই ম্যাচ খেলে ওঁদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে দাদাগিরি দেখিয়েছে ভারতের বোলাররা। ভুবনেশ্বর কুমার অ্যান্ড কোং একাই শেষ করে দেয় পাকিস্তানকে। সবথেকে বড় ধাক্কাটা দেয় তারা বাবর আজমকে ফিরিয়ে।
১০ রানে বাবরকে ফেরান ভুবনেশ্বর। তবে পুরো ম্যাচজুড়েই ছাপ ফেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিনি ব্যাট হাতে শেষ বলে ছয় মেরে দলকে জেতান। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে ভয়ঙ্কর চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন যেই পান্ডিয়া, তিনিই ২০২২ এর এশিয়া কাপে দুর্দান্ত কামব্যাক করলেন।
[ad_2]