ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

শচীনের ২৪ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলেন, কাঙ্ক্ষিত শতরান কাকে উৎসর্গ করলেন শুভমন!

শচীনের ২৪ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলেন, কাঙ্ক্ষিত শতরান কাকে উৎসর্গ করলেন শুভমন!
Rate this post

[ad_1]

শুবমন গিলের প্রথম শতকেই রেকর্ড বই ওলটপালট হয়ে গেল! ২০১৯ সালে অভিষেক হলেও একটি শতকের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন এই তরুণ, বেশ কয়েকবার অর্ধশতকের দেখা পেলেও শতক এতদিন অধরাই ছিল। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে পরম আরাধ্য শতকের দেখা পেলেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।

১৯৯৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১২৭ রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এতদিন কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সেটাই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫ চার এবং ১ ছয় সহযোগে ৯৭ বলে ১৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন শুবমন। আর তাতেই শচীনের ২৪ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিহাস লেখা হয়ে গেছে তার।

অবশ্য শুধু শচীনের রেকর্ড ভেঙেই থামেননি শুবমন। এতদিন জিম্বাবুয়েতে সব কম বয়সে শতরানের রেকর্ডটি ছিল রোহিত শর্মার, ২৩ বছর ২৮ দিন বয়সে শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। শুবমন যখন শতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন তখন তার বয়স ২২ বছর ৩৪৮ দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে কম বয়সে শতকের দেখা পাওয়া ভারতীয় হিসেবে রোহিতের জায়গাটিও দখল করেছেন তিনি।

শুবমনের এক শতকের দুই রেকর্ড গড়ার দিনে কষ্টেসৃষ্টে জয় পেয়েছে ভারত। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল লোকেশ রাহুলদের। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল জিম্বাবুয়ে।

বিশেষ করে আগে ব্যাট করা ভারতের দেওয়া ২৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিকান্দার রাজার লড়াকু শতকে জয়ের দিকে এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা। তবে শার্দুল ঠাকুরের করা ইনিংসের ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বল লং অনের ওপর দিয়ে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেছিলেন রাজা, তবে সীমানা দড়ির সামনে থেকে দৌড়ে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ লুফে নেন শুবমন গিল। তাতেই সাঙ্গ হয় ৯৫ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে খেলা রাজার ১১৫ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের আশার প্রদীপও নিভে যায়।

ম্যাচের পর বিশেষ একজনকে শতরান উৎসর্গ করলেন শুভমন। তিনি আর কেউ নন, বাবা লখবিন্দর। ম্যাচ এবং সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে শুভমন বলেছেন, “সবার আগে বাবাই আমার কোচ। দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হওয়ার পর বাবা আমাকে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তার পরেই শতরান পেলাম। এই ইনিংস ওঁকেই উৎসর্গ করছি।”

[ad_2]

Leave a Reply