[ad_1]
চলতি মাসের ২৭ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। শিরোপার জন্য লড়বে ৬ দেশ। শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভারত ও পাকিস্তান। তবে সবশেষ আসরের রানার্সআপ বাংলাদেশও চোখ রাখছে সোনালি ট্রফিতে। এশিয়া কাপকে সামনে রেখে মাঠের প্রস্তুতি শুরু করেছে
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এ তো গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তুতি। আর দর্শকরা মুখিয়ে এশিয়ার সেরা সেরা দলের মহারণ দেখতে।
কিন্তু চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাধা হতে পারে এশিয়া কাপ সম্প্রচারে। একটু খটকা লাগল? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বের অর্থনীতি নাজুক অবস্থায়। ইতোমধ্যে ডলার সংকটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বাদ যায়নি বাংলাদেশ। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে।
সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে কঠোর হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে সহজে ডলার পাওয়া গেলেও এখন নানা কাঠখড় পোহাতে হবে। ডলার পেতে দিতে হবে নানান তথ্য। তাই সহজে মিলছে না ডলার।
এমন অবস্থায় এশিয়া কাপ সম্প্রচারে দেশীয় চ্যানেলগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। তারপরও টুর্নামেন্ট সম্প্রচারে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না চ্যানেলগুলো। এর অন্যতম কারণ ডলার সংকট। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া শর্ত মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রডকাস্টাররা।
এশিয়া কাপ শুরুর সময় ঘনিয়ে এলেও টুর্নামেন্ট সম্প্রচারের নিশ্চয়তা শঙ্কার মুখে পড়েছে। ডলারের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক শিথিল না হলে এ অঞ্চলের দর্শকরা সাকিব, মুশফিকদের এশিয়া কাপ দেখা থেকে বঞ্চিত হবে।
কিন্তু ক্রিকেট পাগল এ জাতি কখনই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। দর্শকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার যদি বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে খেলা সম্প্রচার করে তাহলে সব অনিশ্চয়তা দূর হবে।
এশিয়া কাপের পরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং কাতার বিশ্বকাপ। এ অনিশ্চয়তা দূর না হলে শঙ্কায় পড়বে ক্রিকেট ও ফুটবলের বৈশ্বিক দুই মেগা ইভেন্ট সম্প্রচারে। সেটা নিশ্চয়ই দর্শকরা মেনে নেবে না।
[ad_2]