[ad_1]
সারাদিনের বেশ খানিকটা সময় আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে থাকি এই সমস্ত ভাইরাল ভিডিওগুলি দেখে।
করোনা মহামারীর সময় যখন সারা দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল সেই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার চাহিদা এবং গুরুত্ব দুটোই বেড়ে যায়।
গৃহবন্দী মানুষ তখন নিজেকে ব্যস্ত রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন কার্যকলাপ করে পোস্ট করতে শুরু করে। নিমেষের মধ্যে সেই সকল পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়ে বেশ কিছু ইনকাম শুরু হয়।
বাঙালিদের কাছে ক্রিকেটের মহারাজ মানেই সৌরভ গাঙ্গুলী। অবশ্য সৌরভ নামটি ছাড়াও একাধিক নাম আছে তার, কেউ দাদা তো কেউ প্রিন্স অফ কলকাতা নাম চেনেন তাঁকে।
ক্রিকেটের ময়দানে নিজের অসাধারণ খেলা দিয়ে ম”ন্ত্রমুগ্ধ করেছেন তিনি আপামর বাংলীদের। খেলার মাঠ থেকে শুরু করে আজ তিনি বিসিসিআই সভাপতি। তবে সৌরভের খেলার জীবন যেমন আক”র্ষণীয় তেমনি তার প্রেম জীবন। সিনেমার পর্দায় আমরা প্রতিনিয়তই হাজার একটা প্রেম কাহিনী দেখে থাকি। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সৌরভ-ডোনার প্রেম
কাহিনী হার মানাবে যেকোন সিনেমার গল্পকেও। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ডোনা গাঙ্গুলিকেই সহ”ধর্মিনী করেছেন ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি। আর সৌরভ-ডোনার প্রেম কাহিনী নিয়ে চর্চা দীর্ঘদিনের। এমনকী তাঁদের দাম্পত্য জীবনে পদার্পনের ইতিহাসও নাকি হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও। এমনটাই ধারণা রয়েছে মহারাজের অনুগামীদের। ওই যে কথায় বলে প্রেম মানেনা শাসন-বারণ। আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল সৌরভ-ডোনার মধ্যে। পরিবারকে লুকিয়ে ১৯৯৬ সালে আ”ইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। এরপর বছর খানেক হতে না হতে তা জানাজানি হয়ে যায়। আর তারপর রীতিনীতি মেনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুজনে। দেখতে দেখতে একে অপরের সঙ্গে ২৬ টা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই তারকা দম্পতি।
সম্প্রতি বড় ধরনের হার্টের সমস্যা থেকে কিছুটা সু”স্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মহারাজ। তাঁর হার্টে বসেছে তিনটি স্টেন। এখন তিনি অনেকটাই সু”স্থ আছেন। এই মুহূর্তে বিসিসিআই র প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি জি-বাংলার ‘দাদাগিরি’ র মঞ্চ সামলাচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ ডোনার প্রেম কাহিনী মানে হল সাদাকালো যুগে এক রঙিন ছবি। ছোটবেলা থেকে সৌরভ এবং ডোনা একে অপরের খেলার সাথী ছিলেন। একসময় সৌরভ ব্যাডমিন্টন খেলতো আর ডোনা তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতো। সৌরভ যতক্ষণ থাকতো সেই জায়গাটা ছেড়ে কোথাও যেতো না ডোনা। ডোনা কে দেখে হাব ভাব বদলে যায় গাঙ্গুলী বাড়ির এই সুদর্শন যুবকটির। জামার কলারটাকে কিছুটা তুলে অকারণেই এসে যেত সে।
এই ভাবেই চলতে থাকে তাদের প্রেমকাহিনী। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেম চললেও ভয় ছিল কারণ ডোনার বাবা পছন্দ করতেন না গাঙ্গুলী বাড়ির লোকেদের। একসময় সৌরভ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে গিয়ে তাঁর বাবা চন্ডীদাস গাঙ্গুলীকে সৌরভ এবং ডোনার বিষয়ে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলেন। তখন সৌরভের বাবার সৌরভকে আশ্বস্ত করে বলেন যে সে যেন খেলার দিকেই মনোনিবেশ করে আর বাকি ব্যাপারটা তিনি দেখবেন। তারপর চন্ডীদাস বাবু যান ডোনার বাবার সাথে কথা বলতে। ডোনার বাবাতো গলে গেলেন কারণ যতই হোক মেয়ে পছন্দ করেছে কলকাতার যুবরাজকে। সৌরভ ও ডোনার জীবনে তাঁদের ভালোবাসার ও আদরের সন্তান হল সানা। আপাতত সে পড়াশোনার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
[ad_2]