[ad_1]
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ভারতকে ৯ রানে হারিয়েছে তেম্বা বাভুমার দল। ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের খেলায় জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচে দলের জয়ের নায়ক ডেভিড মিলার এবং হেনরিক ক্লাসেন থাকলেও দলের স্পিনার তাবরেজ শামসির জন্য ম্যাচটি ছিল বিস্মরণীয়।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি দেরিতে শুরু হয়েছিল। এবং পরবর্তিতে খেলা পঞ্চাশের বদলে চল্লিশ ওভারে নামানো হয়। ঠিক হয় প্রত্যেক বোলার ১০এর বদলে আট ওভার করে বল করবেন।
প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে সঞ্জু স্যামসনের অপরাজিত ৮৬ রানের পরও টিম ইন্ডিয়া ম্যাচ হেরেছিল ৯ রানে। তবে এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার তাবরেজ শামসি নিজের নামে এক লজ্জাজনক রেকর্ড গড়লেন।
এই ম্যাচে তাবরেজ শামসি তাঁর আট ওভারের কোটায় ৮৯ রান দিলেন। এর ফলে ওয়ানডে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান করা বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার হয়েছেন তিনি।
এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ভারতের কুলদীপ যাদবের নামে। কুলদীপ যাদব ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বোলিং করার সময় ৮৪ রান করে খরচ করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ৮ ওভার বল করে এই লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ে ফেললেন শামসি।
এর মাধ্যমে এক ম্যাচে ৮ বা তার কম ওভার বল করে সবচেয়ে বেশি রান করার নিরিখে চার নম্বরে চলে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি।
এ ক্ষেত্রে শামসির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গা, আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন ও পাকিস্তানের রানা নাভেদ-উল-হাসান।
২০১২ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ৯৬ রান খরচ করেছিলেন মালিঙ্গা। যেখানে কেভিন ও’ব্রায়েন দিয়েছেন ৯৫ ও রানা নাভেদ দিয়েছেন ৯২ রান।
তবে এছাড়াও আরও একটি লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন শামসি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার হিসাবে একদিনের ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রান হজম করেছেন শামসি।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল জন বোথার নামে। ২০১০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড ছিল বোথার। তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন ইমরান তাহির,
যিনি ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭৬ রান খরচ করেছিলেন। তবে চার নম্বরেও ছিলেন তাবরেজ শামসি। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৫ রান দিয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচের কথা বলতে গেলে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে।
দলের পক্ষে ডেভিড মিলার ৭৫ ও হেনরিক ক্লাসেন ৭৪ রান করেন। যেখানে ডি কক করেন ৪৮ রান। ভারতের হয়ে শার্দুল ঠাকুর নেন ২ উইকেট।
জবাবে ভারতীয় দল ৪০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪০ রান করতে পারে। দলের পক্ষে সঞ্জু স্যামসন অপরাজিত ৮৬ এবং শ্রেয়স আইয়ার ৫০ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
[ad_2]