বেঙ্গলি পোর্টাল: হেমন্তে দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপের মেঘের ঘনঘটা। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই হেমন্তের ভরপুর শীতল আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নিম্নচাপ এবং তার ফলে বৃষ্টিপাত বঙ্গবাসী কে পিছু ছাড়ছে না। গত শনিবার দুপুরের পর থেকেই আকাশ মেঘলা। গত কাল সন্ধ্যার দিকে কলকাতা ও তার আশে পাশের কয়েকটি জিরজিরে কয়েক পশলা বৃষ্টি কত হয়েছে। রবিবারও যা চলতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর মিলেছে।
❒ প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:
করোনা আবহাওয়া কালে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা নিম্নচাপের ভ্রুকুটির মধ্য দিয়ে গেলেও, বাংলাদেশের দিকে তার অভিমুখ থাকায় উৎসব প্রিয় বঙ্গবাসী রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু হেমন্তের ঠিক শুরুতেই ফের কালো মেঘের সঞ্চার হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। শনিবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জেরেই দক্ষিণবঙ্গে রাতের দিকে কিছুটা তাপমাত্রাও কমে। এই নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও কেরল প্রভৃতি রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে।এই নিম্নচাপের ফলেই নভেম্বরের শুরুতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর নাগাদ কলকাতা থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা। তবে এবারের বর্ষা বিদায় নিয়েছে অনেকটাই দেরিতে। ফলে প্রতিবছরের ন্যায় এবছও অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণবঙ্গে উত্তরের শুকনো বাতাসের আনাগোনা শুরু হলেও এবার তা হয়নি। দিনকয়েক আগে পর্যন্তও রাতের তাপমাত্রা ২৬-২৭ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। যার অন্যতম কারণ সাগরে পর পর সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপ। তবে পুজোর মুখে নিম্নচাপ বাংলাদেশে সরে যাওয়ার পরই আবহাওয়ার উন্নতি হয়।
বঙ্গবাসী বিশ্বাস করে দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের দিন থেকেই বাতাসে একটা হিমেল হওয়া অনুভূত হয়। চলতি বছরেও এর অন্যথা হয়নি। ইতিমধ্যেই দক্ষিনবঙ্গে তা বইতে শুরু করেছে। রাতে এবং ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে তা স্থায়ী নয়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে তাপমাত্রা বাড়বে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।