[ad_1]
পঞ্চিমাঞ্চলের হয়ে ওপেন করতে নেমে লড়াকু শতরান করেন পৃথ্বী শ। ট্রেলারেই ইঙ্গিত মিলেছিল, পিকচার হিট হতে চলেছে। তবে এমন সুপারহিট ব্যাটিং উপহার দেবেন মুম্বইয়ের তিন তারকা, সেটা বোঝা যায়নি শুরুতে।
ধারে ও ভারে উত্তর-পূর্বাঞ্চল যে তারকাখচিত পশ্চিমাঞ্চলের থেকে অনেক পিছিয়ে, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। তবে দলীপ ট্রফির মঞ্চে দুর্বল উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিতান্ত চুনোপুঁটির পর্যায়ে নামিয়ে আনেন পৃথ্বী শ, যশস্বী জসওয়াল ও অজিঙ্কা রাহানে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে, তাতে সেঞ্চুরি করেও আউট হওয়ার জন্য হাত কামড়াতে পারেন পৃথ্বী শ। কেননা অপর ওপেনার যশস্বীর পাশাপাশি দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অজিঙ্কা রাহানেও।
প্রথম দিনের বিনা উইকেটে ১১৬ রানের পর থেকে খেলতে নেমে পশ্চিমাঞ্চল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ২ উইকেটে ৫৯০ রান তুলে। পৃথ্বী শ ১১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১২১ বলে ১১৩ রান করে আউট হন। যশস্বী সাজঘরে ফেরেন ২২৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। ৩২১ বলের ইনিংসে তিনি ২২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
দিনের শেষে রাহানে নট-আউট রয়েছেন ২০৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে। ২৬৪ বলের ইনিংসে তিনি ১৮টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর সঙ্গে নট-আউট রয়েছেন রাহুল ত্রিপাঠী। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন অঙ্কুর মালিক ও রঙ্গসেন জোনাথন।
পশ্চিমাঞ্চলের প্রথম একাদশ: পৃথ্বী শ, যশস্বী জসওয়াল, অজিঙ্কা রাহানে (ক্যাপ্টেন), হেত প্যাটেল (উইকেটকিপার), হার্দিক তামোরে, রাহুল ত্রিপাঠী, শামস মুলানি, চিরাগ জানি, জয়দীব উনাদকাট, চিন্তন গাজা ও অতীত শেঠ।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম একাদশ: হকাইতো ঝিমোমি (ক্যাপ্টেন), রঙ্গসেন জোনাথন, আশিস থাপা (উইকেটকিপার), বিশ্বরজিৎ কনথৌজাম, দীপ্পু সাংমা, তেচি দরিয়া, কিষাণ লিংডো, আল বসিদ মহম্মদ, এল কিষাণ সিংহ, অঙ্কুর মালিক ও রেক্স রাজকুমার।
[ad_2]