[ad_1]
‘বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিপাররা একই কাজ করছেন। ওটা আমার বেসিক শেখার বিষয় ছিল। ক্রিকেটে একটা কথা বলা হয়, বল যখন উইকেটের কাছে আসবে তখনই ধরবে। আমার বক্তব্য বল রিসিভ করারই কী দরকা আছে?’
কিংবদন্তি এমএস ধোনি উইকেটের পিছনে ভয়ংকর ত্রাস। ব্যাটাররা বিলক্ষণ জানেন কোনও ভুল করলেই সঙ্গে সঙ্গে বেজে যাবে বিপদঘণ্টী! ধোনি সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যেই স্টাম্প ছিটকে দেন তুড়ি মেরে।
বিদ্যুৎগতির বিশ্বস্ত দস্তানা যেন কথা বলে। এখন প্রশ্ন ধোনি কী করে হলেন একজন ব্যতিক্রমী উইকেটরক্ষক! সম্প্রতি এক ব্যাটারি প্রস্তুতকারক সংস্থার অনুষ্ঠানে এসে ধোনি জানিয়ে দিলেন গোঁড়ামির কোনও জায়গায়ই নেই তাঁর ক্রিকেটীয় অভিধানে। চিরাচরিত প্রথা ভেঙেই তিনি হয়েছেন ব্যতিক্রমী।
ধোনি বলেন, ‘আমি টেনিস বলে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। এই বলে উইকেটকিপিং করার জন্য হাত নরম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওখান থেকেই কিন্তু শুরু। হাত শক্ত হয়ে গেলে বল বেরিয়ে যাবে।
টেনিস বলে খেলেই চামড়ার বলে উইকেটকিপিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য পেয়েছি। কিরণ মোরে যখন নির্বাচক ছিলেন, উনি দলের সঙ্গে থাকতেন। উনি আমাকে কিপিংয়ে ও ড্রিল করার সময়ে প্রচুর সাহায্য করেছেন।
যেটা আমি খুব পছন্দ করতাম। আমার উইকেটকিপিং টেকনিক যে আলাদা, সেটা উনি বুঝতেন। আমি একেবারেই কপিবুক স্টাইল মেনে চলা কিপার নই। উনি সেই স্বাধীনতা আমায় দিয়েছিলেন, বলেছিলেন ভুলে যাও কপিবুক।’
নিজের কিপিংয়ের প্রসঙ্গে ধোনির সংযোজন, ‘বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিপাররা একই কাজ করছেন। ওটা আমার বেসিক শেখার বিষয় ছিল। ক্রিকেটে একটা কথা বলা হয়, বল যখন উইকেটের কাছে আসবে তখনই ধরবে।
আমার বক্তব্য বল রিসিভ করারই কী দরকা আছে? আমরা কিপিংয়ে যে গ্লাভস ব্যবহার করি, সেটি রাবারের, তার মধ্যেও রাবার ও তুলো থাকে। এমনিই নরম। ফলে আমার বল রিসিভ করার প্রয়োজনই নেই।
আমি বলটি ছিনিয়ে নিতে পারি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সব বলা ধরা। কোনও কিছু ছাড়া যাবে না। হতেই পারের কারোর টেকনিক আলাদা। খুব স্বল্পই ফারাক। একবার যখন কেউ নিজের স্কিলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, তখন সে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে থাকে। কিছু আলাদা করা যেতে পারে।’
[ad_2]