কড়াইশুটির উপকারিতা ও পুষ্টি গুন: কড়াইশুটি বা মটরশুটি একটি উচ্চমানের উদ্ভিদ প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উত্স। ভারতের সমস্ত রাজ্যে কড়াইশুটি বা মটরশুটি পাওয়া যায় এবং এটি ডাল শস্য় হিসাবে পরিচিত।
কড়াইশুটি বা মটরশুটির বিজ্ঞানসম্মত নাম: Pisum sativum
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে কড়াইশুটি খান – জানুন কড়াইশুটির উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
কড়াইশুটি বা মটরশুটির মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কড়াইশুটি বা মটরশুটি কাঁচা খাওয়া যায় ও রান্নায় ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন পূজাতে প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রোটিন পূর্ণতা বোধের অন্যতম প্রধান অবদানকারী হিসাবে কড়াইশুটি বা মটরশুটি পরিচিত। এতে যুক্ত প্রোটিন এবং ফাইবার সামগ্রী ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: বিনস এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
কড়াইশুটির উপকারিতা ও পুষ্টি গুন:
১। পুষ্টিগুণ: কড়াইশুটি বা মটরশুটির পুষ্টিগুণ তুলনারহিত। এর মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে নানা রোগের থেকে রক্ষা করে।
২। হজমশক্তি বৃদ্ধি: আমাদের অনেকেরই হজম পক্রিয়া খুবই ভালো নয় তাই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় পড়তে হয়। কড়াইশুটি বা মটরশুটি প্রতিনিয়ত রান্না করে আমাদের খাদ্যের উপাদানের সাথে রাখলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কড়াইশুটি বা মটরশুটিতে ডায়েটরি ফাইবার থাকার জন্য কড়াইশুটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন: শসার উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
৩। ত্বককে ভালো রাখে: আমাদের ত্বক নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের স্কিন খসখসে, শুস্ক, ও আরো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এটির মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ফোলিক অ্যাসিড ত্বকের কোলাজেন, ইলাস্টেন ও প্রােটিনকে সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত রাখে, যার ফলে ত্বক দীর্ঘদিন টানটান টোনড-আপ থাকে।
৪। ইনফেকশনকে প্রতিরােধ: কড়াইশুটি বা মটরশুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, ওয়াটার সলিউবিল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরে তৈরি হওয়া ফ্রি-র্যাডিকলস্ ধ্বংস করে, ইনফেকশনকে প্রতিরােধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: এটি লাে-ক্যালরি ফুড, তাই ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৬। কোলেস্টেরলের মাত্রা: কড়াইশুটি বা মটরশুটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে।
৭। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য: কড়াইশুটি বা মটরশুটি লাে-ক্যালরিযুক্ত। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি, যা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য দারুণ উপকারী।
আরও পড়ুন: লাউ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
৮। বার্ধক্য রােধ: এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বার্ধক্য রােধ করে।
৯। স্কিন ড্যামেজ: কড়াইশুটি বা মটরশুটিতে রয়েছে লিউটিন, ক্যারােটিন, ভিটামিন এ, যা আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে উন্নত করে, ত্বক সুন্দর করে তােলে। স্কিন ড্যামেজের সম্ভাবনা কমে যায়।
১০। হার্টের সমস্যা: নিয়মিত খাওয়ায় হার্টের সমস্যা রােধ করে। ব্লাড ভেসেল্সকে হেলদি করে।
১১। ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণ: কড়াইশুটি বা মটরশুটি ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণ করে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কম।
১২। ব্যথা-বেদনার উপশম: কড়াইশুটি বা মটরশুটিতে স্ট্রং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি থাকার জন্য আর্থারাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস এবং অস্টিওপােরােসিস জাতীয় ব্যথা-বেদনার উপশম করে।
১৩। বলিরেখা কমায়: এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লিউটিন, ক্যারােটিন, ভিটামিন এ যা চোখের কোন বলিরেখা ঠিক করতে সহজ করে।
আরও পড়ুন: কুমড়োর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন