ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

হেলমেট না পরে খপ্পরে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, ট্রাফিক পুলিশের ব্যবহারে ‘থ’ চালক

হেলমেট না পরে খপ্পরে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, ট্রাফিক পুলিশের ব্যবহারে ‘থ’ চালক

[ad_1]

হেলমেট না পরে খপ্পরে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, ট্রাফিক পুলিশের ব্যবহারে 'থ' চালক

পার্থ দাস : পথ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক মোটর ভেহিকেল আইনে একাধিক পরিবর্তন এনেছে। এই সকল পরিবর্তন অনুযায়ী যদি কোন বাইক আরোহী হেলমেট না পরে বাইক চালান তাহলে তার ১০০০ টাকা জরিমানা হবে। এই আইন এখন পশ্চিমবঙ্গেও বলবৎ হয়ে গিয়েছে।

তবে মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দা কৃপা সিন্ধু সাহা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে মোটরবাইক নিয়ে আসেন। তিনি বিনা হেলমেটেই সিউড়ি শহরে নিজের কাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এমন সময় সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে কর্মরত এএসআই শেখ মইদুল ইসলাম তার পথ আটকান। ট্রাফিক নিয়ম না মানার কারণে তাকে জরিমানা করেন ওই অফিসার। তবে এরপরেই ওই অফিসার কৃপাসিন্ধু সাহার সঙ্গে যে ব্যবহার করেন তাতে তিনি নিজেই ‘থ’ হয়ে যান।

ওই ট্রাফিক পুলিশ অফিসার ওই ব্যক্তিকে হেলমেট না পরে বাইক চালানোর জন্য জরিমানা করেন ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তার ওই জরিমানার টাকায় একটি নতুন হেলমেট কিনে আনা করান এবং সেই হেলমেটটি কৃপাসিন্ধু বাবুর মাথায় পরিয়ে দেন। এর ফলে কৃপা সিন্ধু জরিমানা স্বরূপ টাকা খরচ হলেও বদলে একটি হেলমেট পান। ট্রাফিক পুলিশ অফিসারের থেকে এমন ব্যবহার তাকে স্তম্ভিত করে দেয়।

তবে কেন হেলমেট না পরেই ঝাড়খন্ড থেকে চলে এসেছিলেন কৃপা সিন্ধু সাহা? এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য তিনি ঝাড়খন্ড থেকে বীরভূমে এসেছেন। আর তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তিনি তার হেলমেট ভুলে যান।

হেলমেট না পরে খপ্পরে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, ট্রাফিক পুলিশের ব্যবহারে 'থ' চালক

যদিও এই বিষয়টিকে ট্রাফিক পুলিশ অজুহাত হিসাবেই মনে করছেন। তবে যেন পরবর্তীতে এমন ভুল না হয় তার শিক্ষা দিতেই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএসআই শেখ মইদুল ইসলাম। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “অনেক ক্ষেত্রেই মানুষকে সচেতন হতে দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের সুরক্ষার জন্য এই আইন চালু করা হয়েছে। এই ট্রাফিক আইন না মানলে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে তাদের।”

[ad_2]

Leave a Reply