ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Debendranath Tagore Biography in Bengali

Debendranath Tagore Biography in Bengali
Debendranath Tagore Biography in Bengali

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Debendranath Tagore Biography in Bengali. আপনারা যারা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জানতে আগ্রহী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ছিলেন? Who is Debendranath Tagore?

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৫ মে ১৮১৭ – ১৯ জানুয়ারি ১৯০৫) ছিলেন একজন ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক ও দার্শনিক। ১৮১৭ সালের ১৫ মে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং মাতা দিগম্বরী দেবী। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কনিষ্ঠ পুত্র।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Debendranath Tagore Biography in Bengali

নামদেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম15 মে 1817
পিতাদ্বারকানাথ ঠাকুর
মাতাদিগম্বরী দেবী
জন্মস্থানকলকাতা, বাংলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
পেশাধর্ম সংস্কারক
মৃত্যু19 জানুয়ারী 1905 (বয়স 87)

bengaliportal

 

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জন্ম: Debendranath Tagore’s Birthday

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 15 মে 1817 জন্মগ্রহণ করেন।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Debendranath Tagore’s Parents And Birth Place

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের নেতা, বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক, চিন্তাবিদ। মাচারে আচরণে এবং পোশাকে আহারে তিনি ছিলেন নিজের যুগের একজন পরিপূর্ণ স্বাদেশিক নুষ। জোড়াসাঁকোর প্রখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১৮১৭ খ্রঃ দেবেন্দ্রনাথের জন্ম। তার পিতা ছিলেন স্বনামধন্য প্রন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

আরও পড়ুন: অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং জীবনী

আরও পড়ুন: মেরী কুরি জীবনী

আরও পড়ুন: গুলিয়েলমো মার্কনি জীবনী

আরও পড়ুন: আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী

আরও পড়ুন: হারম্যান জোসেফ মুলার জীবনী

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর শিক্ষাজীবন: Debendranath Tagore’s Educational Life

দেবেন্দ্রনাথের শিক্ষাজীবন কাটে রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত অ্যাংলো – হিন্দু স্কুল ও হিন্দু কলেজে। অ্যাংলো – হিন্দু স্কুলে পাঠকালে ১৮৩১ খ্রিঃ থেকে কয়েক বছর পিতার ব্যবসায় দেখাশোনার কর্তৃত্ব পেয়ে বিলাসী হয়ে উঠেছিলেন। ১৮৩৫ খ্রিঃ পিতামহীর মৃত্যুর পর আকস্মিকভাবে তাঁর জীবনের গতি পরিবর্তিত হয়ে যায়। মনে ধর্মজিজ্ঞাসা প্রবল হয়ে ওঠে।

ঈশ্বর লাভের উপায় জানবার উদ্দেশ্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের ধর্ম ও দার্শনিক গ্রন্থাদি পাঠ করতে থাকেন এবং ধর্মতত্ত্ব আলোচনার জন্য সর্বতত্ত্বসভা স্থাপন করেন। সভার দ্বিতীয় অধিবেশনেই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় তত্ত্ববোধিনী সভা। ১৮৪০ খ্রিঃ এই সভার অংশ হিসাবে স্থাপিত হয় তত্ত্ববোধিনী – পাঠশালা। বিনা বেতনে বাংলা ভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও ধর্মশাস্ত্র বিষয়ে শিক্ষা ও উপদেশ দেওয়া এই পাঠশালার উদ্দেশ্য ছিল।

পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস হারিয়েছিলেন কৈশোরেই। অচিরেই রামমোহন প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের আচার্য বিদ্যাবাগীশের নিকট ২০ জন বন্ধুসহ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং ব্রাহ্মধর্ম প্রচারে উদ্যোগী হন। এভাবেই দেবেন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক সাধনার জীবন আরম্ভ হয়। ১৮৪৬ খ্রিঃবিলাতে পিতার মৃত্যু হলে তিনি অপৌত্তলিক মতে পিতৃশ্রাদ্ধ নিষ্পন্ন করেন।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কর্ম জীবন: Debendranath Tagore’s Work Life

দ্বারকানাথের মৃত্যুর পর তার দুটি প্রতিষ্ঠান কার টেগোর কোম্পানি ও ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক উঠে যায়। ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে পিতার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য সুদ সমেত ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা District Charitable Society কে দান করেন। ১৮৬০ খ্রিঃ দেবেন্দ্রনাথ আচার্য হিসাবে ব্রাহ্মসমাজের বেদীতে বসেন। কেশবচন্দ্র তার কাছেই দীক্ষিত হন। হিন্দুমতে পূজাপার্বণাদি বন্ধ করে তিনি প্রবর্তন করেন মাঘোৎসব —১৬ ই মাঘ, নববর্ষ —১ লা বৈশাখ, দীক্ষাদিবস —৭ ই পৌষ ইত্যাদি নতুন কতগুলি উৎসব।

তার অর্থানুকূল্যে কেশবচন্দ্রের পরিচালনায় ও মনোমোহন ঘোষের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করে সুখ্যাত Indian Miror পত্রিকা। সমাজ সংস্কারমূলক বিষয়ে কেশবচন্দ্রের সঙ্গে মতবিরোধ উপস্থিত হলে কেশবচন্দ্র তাকে ত্যাগ করে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নামে নতুন সমাজ গঠন করেন ১৮৬৬ খ্রিঃ। দেবেন্দ্রনাথের প্রবর্তিত সমাজ আদি ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয়।

ব্রাহ্মধর্মের মূল লক্ষ ছিল, খ্রিস্টানধর্মের প্রভাব থেকে দেশীয় যুবকদের রক্ষা করা। এই কাজের জন্য তৎকালীন হিন্দুসমাজের সমাজপতি রাধাকান্তদেব দেবেন্দ্রনাথকে জাতীয়ধর্মের পরিরক্ষক উপাধি দেন। ১৮৬৭ খ্রিঃ তিনি ব্রাহ্মগণ কর্তৃক মহর্ষি উপাধিতে ভূষিত হন। ১৮৭৬ খ্রিঃ বীরভূমের ভুবনডাঙায় একটি বিশাল ভুমিখন্ড কিনে সেটিকে আশ্রমে রূপান্তরিত করে নাম দেন শান্তিনিকেতন। এইস্থানই আজ বাংলা তথা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক ভূমি এবং রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিপূত স্থান৷

সমাজ সংস্কার মূলক সকল কাজের সঙ্গেই দেবেন্দ্রনাথের আত্মিক যোগ ছিল। তিনি ছিলেন হিন্দু চ্যারিটেবল ইনসটিটিউশনের অন্যতম স্থাপয়িতা। বিধবাবিবাহ প্রশ্নে তিনি ছিলেন বিদ্যাসাগরের উৎসাহী সমর্থক। তিনি বাল্য ও বহুবিবাহের বিরোধী ছিলেন। কিছুদিন রাজনীতিতেও অংশ নেন। বৃটিশ ইন্ডিয়ান সোসাইটির তিনি প্রথম সম্পাদক হন। নারীশিক্ষায় অগ্রণী সংস্থা বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। দেবেন্দ্রনাথ বাংলায় সংস্কৃত ব্যাকরণ প্রকাশ করেছিলেন।

তত্ত্ববোধিনী সভা থেকে প্রকাশ করেন কঠোপনিষদের বাংলা অনুবাদ। পরে বেদচর্চার জন্যও সবিশেষ সচেষ্ট হন। সাহিত্যপ্রিয় দেবেন্দ্রনাথের সাহিত্যপ্রীতির নানা প্রমাণ বর্তমান। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তিনি ১৮৪৮ খ্রিঃ থেকে ঋকবেদের অনুবাদে ব্রতী হন এবং এই কাজে চব্বিশ বছর নিযুক্ত থাকেন।

আরও পড়ুন: রাণী রাসমণি জীবনী

আরও পড়ুন: মেজর ধ্যানচাঁদ জীবনী

আরও পড়ুন: জিম থর্প জীবনী

আরও পড়ুন: জেসি ওয়েন্স জীবনী

আরও পড়ুন: পাভো নুরমি জীবনী

ব্রাহ্ম ধর্ম, Vedentic Doctrines Vindicated, জ্ঞান ও ধর্মের উন্নতি, পরলোক ও মুক্তি, ব্রাহ্মবিবাহ প্রণালী, জীবনচরিত তাঁর সাহিত্য প্রতিভার উদাহরণ। বাংলায় সাহিত্য সংস্কৃতিতে নব ভাবনা ও আবেগের মিলন মেলা তারই আশীর্বাদপূত হয়ে স্থাপিত হয় হিন্দুমেলা বা চৈত্রমেলা। দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন ভ্রমণকারী আধ্যাত্মিক। বিষয়কর্মের বন্ধন ছাড়িয়ে প্রায়ই হিমালয়ের নির্জনতায় চলে যেতেন। সিংহল সহ তিনি চীন ও ব্রহ্মদেশ ভ্রমণ করেন।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মৃত্যু: Debendranath Tagore’s Death

১৯০৫ খ্রিঃ ১৯ শে জানুয়ারী দেবেন্দ্রনাথ লোকান্তরিত হন।

Leave a Reply