[ad_1]
সম্প্রতি অভিনেতার সিদ্ধার্থ শুক্লা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর কারণে সকলকে হতবাক করেছে। অভিনেতার এমন সুস্থ ও প্রাণবন্ত চেহারা থাকা সত্ত্বেও মানুষ কিভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন তা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব হৃদ্যন্ত্র দিবস বা ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’। এই দিনটি আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে যে বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও এই রোগের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
☞ কি কি কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে:
☞ জন্মগত কারণ: জন্মের সময় থেকে অনেকেরই শিরা ধমনীর মধ্যে ছোট বড় মাপ হওয়ায় কিছু সমস্যা থাকে, তাই অল্প বয়সে তেমন বোঝা যায় না। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করতে পারেন। এ কারণে অল্প বয়সী হলেও হৃদ রোগের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
☞ জিনগত কারণ: অনেকেরই জিনগত কারণে শিরা ধমনীর মধ্যে নানান সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের লিপিড মেটাবলিজেমের মত সমস্যা রয়েছে তাদের অল্প বয়সে হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
☞ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পরেই হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা হচ্ছে।
☞ ধুমপানে আসক্তি: যারা প্রতিনিয়ত সিগারেট, গাঁজা ধূমপানে আসক্ত তাদের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। রক্ত জমাট বাঁধছে অনেক সময় টের পাওয়া যায় না। চিকিৎসায় দেরি হয় এবং তাতে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।
☞ বাবা-মায়ের থেকে পাওয়া: যাদের পিতা-মাতার হৃৎপিণ্ডে সমস্যা রয়েছে, তারাও কম বয়সে এই রোগের শিকার হতে পারেন।
☞ খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা: অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগের জটিল সমস্যা তৈরি হয়। যারা অল্প বয়স থেকেই জাঙ্কফুড এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত জাতীয় খাবার এছাড়া দুগ্ধজাতীয় খাবার ডুবে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
☞ কিভাবে সতর্ক হবেন: এক চিকিৎসকের মতে, বুকে ব্যথা হলেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। হৃদযন্ত্রে সমস্যা থাকলে শরীরে সামান্য কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। এটা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। তাই মাঝেমধ্যেই যন্ত্রের পরীক্ষা করানো উচিত।
[ad_2]