ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

চুল পাকা রোধ করার কার্যকরী উপায় – ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি চুল পাকা রোধ করুন

চুল পাকা রোধ করার কার্যকরী উপায়
চুল পাকা রোধ করার কার্যকরী উপায়
Rate this post

চুল পাকা রোধ করার কার্যকরী উপায়: চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়। অল্প বয়সে চুল পাকা নারী-পুরুষ সকলের কাছে একটি অভিশাপের মতো মনে হয়। অকালে চুল পাকা প্রত্যেকের কাছেই একটা বড়ো সমস্যা। এর ফলে মুখের শ্রী-তো নষ্ট হয়ই তার সাথে সাথে বয়সও বেশী দেখায়।

এই সমস্যা টি বিশেষত নারী-পুরুষ উভয় এরই সমস্যা তৈরী করে। সাধারনত পেটের গন্ডগোল, দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, কঠোর পরিশ্রম, ভিটামিন-এ এবং ডি, এর অভাবে অসময়ে চুল পেকে যায়। এই অকালে চুল পাকার হাত থেকে বাঁচার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়।

অকালে চুল পাকার কারণ:

অনেকের ২০ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সেও চুল পাকতে দেখা যায়। একে বলা হয় চুলের অকালপক্বতা। গবেষকেরা বলছেন, কম বয়সে চুল পাকার পেছনে জিনগত প্রভাবের পাশাপাশি, অস্থিরতা, ধূমপান, দূষণ, মানসিক চাপ প্রভৃতি বিষয় কাজ করে। চুল পাকলে তা রং করার জন্য নিয়মিত রাসায়নিক ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হয়। এই আয়ুর্বেদ পদ্ধতি গুলি সঠিক ভাবে পালন করলে চুল পাকার হাত থেকে রেহাই পাবেন।

চুল পাকা রোধ করার কার্যকরী উপায় – ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি চুল পাকা রোধ করুন – How To Prevent Hair Ripe

ভিটামিন-বি ১২ এর অভাব বা আয়রনের তীব্র ঘাটতির কারণে অকালে চুল পেকে থাকে। এছাড়াও অকালে চুল পাকার কারণ হতে পারে খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত প্রোটিন, তামা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সমূহের অভাব।

১. শুকনো আমলকী চূর্ণ সামান্য জল দিয়ে পেস্ট তৈরী করে মাথায় লাগিয়ে ১৫ থেক ২০ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাসে ৩ থেকে ৪ বার লাগাবেন।

২. ১টি বা ২টি পেঁয়াজ ভালো করে থেঁতো করে রস বের করে মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন ও তার ১৫ মিনিট পরে গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এতে বেশ উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন: মাথার উকুন দূর করার উপায় ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে

৩. ২/৩ টি আলু নিয়ে তার খোসা ছাড়িয়ে নিন তার পরে, সেই আলুর খোসা গুলি কে নিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন তারপর সেই জল টি নিয়ে মাথায় লাগান এবং ম্যাসাজ করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. ১ চামচ আমলকির রস, ১ চামচ হেনা পাউডার ও ১ চামচ চা পাতা একসঙ্গে এটি বাটিতে রেখে জল ঢেলে গরম করুন। সামান্য গরম হওয়ার পর মিশ্রণটি ৪-৫ ঘন্টা ভিজিয়ে দিন। মিশ্রণটি মাথায় ম্যাসাজ করার ২ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

৫. ২ চামচ নারকেল তেল ২ চামচ ভৃঙ্গরাজ ও ২ চামচ মেথি ভিজিয়ে মাথায় নিয়মিত মাখলে পাকাচুল কালো হবে। সপ্তাহে ৪ বার মাখা দরকার।

৬. আমলকি চূর্ণ লেবুর রসে মিশিয়ে পাকাচুল লাগালে ধীরে ধীরে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে। সপ্তাহে ৪ বার মাখতে হবে।

৭. ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খাবার দরকার। যেসব খাবার থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় সেগুলি হলো: বিভিন্ন ধরণের মাছ, মাশরুম, কমলার জুস, ডিম। এবং ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার হলো বিভিন্ন প্রকার সবুজ শাক-সবজি।

৮. ঈষৎ উষ্ণ সরিষা বা নারকেল তেল নিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে চুল পাকা কমতে পারে।

৯. স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে প্রচুর জল পান করতে হবে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি চুল পাকার জন্য কারণ হতে পারে।

১০. তিলের বীজ এবং বাদাম তেল এই দুইটি বাজারে বেশ সহজলভ্য। স্কিন ডাক্তাররা চুলের যত্নে মাঝে মধ্যে এই চিকিৎসাটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চিকিৎসায় সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। প্রথম তিল বীজ গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। এই পেস্টটি চুলে ও মাথার চামড়ায় লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পাকা কমে যাবে।

১১. এক গ্লাস জল এবং ২ চা-চামচ কালো চা পাতা নিন। এতে এক চামচ লবণ মেশান। এবার জল ফুটিয়ে অর্ধেক করুন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হতে দিন। এমনি জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন। বাজারে উপলব্ধ চুলের রঙ কিংবা কলপ ছাড়াই এটি চুল কালো করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।

১২. ৩০ গ্রাম নারকেল তেলে ৫/১০টি কারি পাতা সিদ্ধ করে নিন। পাতাগুলো কালো না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হয়ে গেলে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হতে দিন। এটি আপনার চুলে ম্যাসাজ করুন এবং সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। কারি পাতায় থাকা ভিটামিন-বি চুলের ফলিক্যালসে মেলামাইন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং ধূসর হওয়া বা পাকা প্রতিরোধ করে।

Leave a Reply