ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

মাথার উকুন দূর করার উপায় ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে

মাথার উকুন দূর করার উপায়
মাথার উকুন দূর করার উপায়
Rate this post

মাথার উকুন দূর করার উপায়: চুলের আর এক অন্যতম সমস্যা হলো মাথার উকুন। উকুন এক ধরণের ক্ষুদ্র ছোঁয়াচে পোকা। এরা মাথার চুলে বাসা বেঁধে মাথার ত্বক থেকে রক্ত খেয়ে জীবন ধারণ করে। উকুনের ডিমকে নিকি বলে। আর নিকি চুলের সাথে আঠার মতো আটকে থাকে। এটি মাথায় জন্মালে সব সময় মাথা চুলকোয় এবং দ্রুত একজনের মাথা থেকে অন্যের মাথায় চলে গিয়ে বংশ বিস্তার করে।

চুলের অযত্নের জন্য এবং অপরিষ্কার চুলে উকুন জন্মায়। আজকাল বাজারে নানা রকমের ওষুধ পাওয়া যায়।সেগুলি সেগুলি ব্যবহার করুন। অথবা ঘরোয়া উপায়ে ও পরিচর্চা করুন।

আরও পড়ুন: ত্বকের যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া উপায়

মাথায় উকুন আসার পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডিম পাড়ে। এর পর ১০ দিন সময় লাগে উকুন বড় হতে। একসঙ্গে ডিম থেকে উকুন হওয়ার কারণে অনেক দ্রুত চুলে উকুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে যতই উকুন নাশক প্রসাধনী ব্যবহার করেন, উকুন বারবার ফিরে আসে। আর এই প্রসাধনীতে নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে চুলেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। ঘরোয়া উপায়ে মাত্র ১৫ মিনিটেই আপনি উকুনের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

মাথায় উকুন আসার কারণ:

যে যে কারণে উকুন হতে পারে-

১। মাথা অপরিষ্কার থাকলে।

২। ভেজা চুল বাধাঁর অভ্যাস থাকলে।

৩। ভেজা চুল অনেকক্ষণ বাঁধা অবস্থায় থাকলে।

৪। অন্যের চিরুনি, তোয়ালে, গামছা ব্যবহার করলে।

৫। অন্যের মাথা থেকে উকুন চলে এলে।

মাথার উকুন দূর করার উপায় ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে – How To Remove Head Lice:

১. ৪ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ২ চামচ ন্যাপথালিন গুঁড়ো মিশিয়ে তেলটা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একটি পাতলা নরম কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখুন। ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. মাথায় অতিরিক্ত উকুন বা নিকি হলে কর্পূর, পানের রসে মিশিয়ে মাথায় মাখুন (১ টা ছোট কর্পূর ও ১টি পান)। এই উপকরণ টি সপ্তাহে ৪ দিন ব্যবহার করুন স্নানের ১ ঘন্টা আগে। তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩. ১ টা রিঠে ফল ৫ চামচ গরম জলে ভিজিয়ে পরের দিন স্নানের আগে মাথায় মেখে নিন এবং ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।

৪. সপ্তাহে ২-৩বার শ্যাম্পু করুন। এবং চুলকে শুকিয়ে রাখুন।

৫. মাথার উকুন দূর করতে ঘরয়া তুলসী পাতার রসে হাফ চামচ নুন দিয়ে গুলে নিয়ে মাথায় মাখুন এবং ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।

৬. চুল সব সময় পরিষ্কার ও ঝারকো রাখুন।

৭. ১০ থেকে ১২ টি রসুনের কোয়া পেস্ট করে নিন। সাথে ২ থেকে ৩ চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন।এবার আধা ঘণ্টা পেস্ট-টি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। চুলে লাগানোর দরকার নেই। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে উকুনের হাত থেকে মুক্তি পাবে।

৮. নিমপাতা বেটে সরাসরি মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে নিন। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এরপর উষ্ণ গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।এরপর উকুননাশক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। উকুন পুরোপুরি রোধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২-৩ বার এই উপায় অনুসরণ করুন।

অথবা, নিপাত ও নিশিন্তে পাতা বেশি পরিমানে নিয়ে কোনো পাত্রে রেখে তাতে জল দিয়ে গরম করুন, যতক্ষণ না সিদ্ধ হয়ে যায়। তারপর সেই জল পরিষ্কার করে নিন এবং স্নানের ১ ঘন্টা আগে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন ও হালকা মোলায়েম কাপড় জড়িয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।

৯. সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্নানের আগে কেরোসিন তেল অল্প পরিমানে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ জল দিয়ে ফেটে নিন। তারপর ভালোকরে মাথার চুলে লাগান তার পর হালকা মোলায়েম কাপড় বা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।

[কিছু তথ্য:- যাদের চুল পড়া, মাথা ঘোরার রোগ আছে তারা ৯ নম্বরটি করবেন না।]

Leave a Reply