ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

আপনি কি অনিদ্রা রোগে ভুগছেন? রাতে ঘুম হচ্ছেনা আসুন জেনেনিন অনিদ্রা কি ও তার প্রতিকার

Insomnia And Its Remedies
Insomnia And Its Remedies


আপনি কি অনিদ্রা রোগে ভুগছেন? রাতে ঘুম হচ্ছেনা আসুন জেনে নিন অনিদ্রা কি ও তার প্রতিকার। তবে আগেই সাবধান করি যে, অনিদ্রা আপনার শরীরে বড়ো কোনো রোগের সৃষ্টি করতে পারে যা থেকে আমাদের সবাইকে সাবধান থাকা উচৎ। অনিদ্রা রোগে বর্তমানে প্রায় অর্ধেক (৫০%) মানুষই ভুগছেন, এই রোগের অনেক কারণ আছে। মূলতঃ উচ মধ্যবিত্ত এবং শহুরে মানুষজন এই ধরনের সমস্যায় বেশি ভুগছেন, তার বড়ো কারণ হলো অতিরিক্ত মানসিক চাপ। ঘুম মানুষের অবশ্যই প্রয়োজন। ঘুমের সময় দেহ ও মন উভয়েই বিশ্রামে থাকে ফলে পরবর্তীতে কাজকরার আগ্রহ অনেক বেশী হয় এবং স্বাভাবিক কাজের মধ্যে ফিরতে পারে।

আরও পড়ুন: দাঁতের মাড়ি ফোলা দাঁতে পোকা লাগা দাঁতের যন্ত্রনা দাঁতের সমস্ত সমস্যা সমাধান

অনিদ্রা রোগটি সাধারণত বৃদ্ধদের মধ্যে ও রাজনীতিবিদ দের মধ্যে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। সাধারণত বৃদ্ধ দের এই রোগটি দেখা যায়, মূলত বৃদ্ধ বয়সে সমস্ত কোষ গুলি কমজোর হয়ে যাওয়ার ফলে গভীর ঘুমের অভাব দেখা দেয়। আর যারা রাজনীতির মধ্যে জড়িত তাদের এই রোগটি বেশির ভাগ আক্রন্ত করে কারণ তারা অতিরিক্ত টেনশন নেন এবং তারা মস্তিস্ককে ঠান্ডা রাখতে পারেনা যার ফলে তারা রাতে ঠিক মতো সময় নিদ্রায় যেতে পারেননা। একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের সাধারণত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। বয়স অনুযায়ী ভাগ করলে দেখাযায় ১৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত ৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন ও ১৫ থেকে ৪০ বৎসর পর্যন্ত ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট ঘুমের প্রয়োজন এবং ৪০ এর উর্ধে ৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট ঘুমোলেই স্বাভাবিক প্রয়োজন মিটবে।

অনিদ্রা রোগের ফলে কি হয়?


অনিদ্রা রোগের ফলে আমাদের শরীরে নানা রোগ বাঁসা বাঁধতে শুরু করে যার ফলে আমরা নানান সমস্যার মধ্যে পড়ি যথা-

১. ঘুম না হওয়ার ফলে আমাদের শরীর রোগা ও পাতলা হয়ে যায় এবং অস্বস্তি বোধ হয়। আর আমরা রোগা শরীর এর কারণে নানা জায়গাতে অসম্মানিত হয়ে থাকি।

২. ঠিক মতো ঘুম না হলে আমাদের চোখ জ্বালা করা ও জল পড়তে থাকে এবং চোখ মুখ খসখসে হয়ে যায়।

৩. আবার ঘুম, না হলে সারা দিনের কাজে মনোসংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না।

৪. ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরে নানা রোগ দেখা দিতে পারে, যা আমাদের পক্ষে খুবই অসুবিধা জনক হয়।

৫. ঘুম না হওয়ায় স্মৃতিশক্তি হাস্র পায়, মস্তিক গরম হয়, মানসিক অস্থিরতা বেড়েযায়, দৃষ্টি শক্তি কমে যায় ইত্যাদি।

৬. ঠিক মতো ঘুম না হলে গ্যাস, কোষ্টকাঠিন্য, খাওয়া-দাওয়া বা আহারে অরুচি বোধ হয়।

অনিদ্রা বা ঘুম না হওয়ার কারণ গুলি:-


বর্তমানে ডাক্তর ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রা ঘুম না হওয়ার বেশকিছু কারণ দেখিয়ে ছেন যথা- বেশীর ভাগ মানুষের এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয় মূলত মানসিক দুশ্চিন্তা, ভয়, অতিরিক্ত কাজ করা, অতিরিক্ত তো উত্তেজিত হাওয়া, অতিরিক্ত ভোজন করা, চা ও কফি বেশী পরিমানে খাওয়া, ধূমপান বেশী করা, অনেক রাত পর্যন্ত জাগা বা মোবাইল ও টিভি দেখা ইত্যাদি। এই সমস্ত দিক গুলি যদি আমরা ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণে আন্তে পারি তাহলে ঘুমের কোনো কষ্ট হবেনা।

প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলি – Insomnia And Its Remedies


সাধারণত আমরা ঘুম না হওয়ার কারণে নানা মেডিসিন নিয়ে থাকি এবং তা খাওয়ার পর আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি, কিন্তু আমরা জানিনা ঘুমের ঔষধ খাওয়ার ফলে আমরা নিজেদের শরীরের ক্ষতি করছি তবে এটা ঠিক না যে সব মেডিসিন খারাপ যে সমস্ত ঔষধ গুলিতে কোনো সাইড এফেক্ট নেই ডাক্তারের পরামর্শ মতো নেওয়া দরকার।

আর আয়ুর্বেদ বলে যে মেডিসিন নয় শাক-সবজি দ্বারা এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, এবং জিঙ্ক বেশী করে খাওয়া দরকার। এই সমস্ত ভিটামিন গুলি দ্বারা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি এগুলি বেশীর ভাগ পাওয়া যায় সবুজ শাক-সবজি গুলিতে যেমন:-

১. আধকাপ শুষনি শাকের রস মধুসহ সেবন করতে হবে অথবা রোজ গরম ভাতের সঙ্গে শুষনি শাক সেদ্ধ করে খেতে হবে প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে।

২. ডালিমের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর শাঁস মিশিয়ে খেলে অনিদ্রা দূর হবে। তবে এটি ৩ সপ্তাহ খেতে হবে।

৩. আহারের পর জোয়ান বেটে জলের সহিত গুলে ২-৪ দিন খেলে অনিদ্রা দূরে যাবে। তবে পেকেট জোয়ান নয়।

৪. শুষনি শাকের রস দু-চামচ করে খেতে হবে ভোরবেলা করে খালিপেটে পরপর ১৫ দিনা (ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে তারপর) রস করে পানকরতে হবে।

৫. মাছ, ডিম, পেঁয়াজ, রুসুন, ইত্যাদি খায়া কম করতে হবে। এবং ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খাওয়া উচিত।

৬. মানসিক টেনশন থেকে অনিদ্রা রোগের জন্ম হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে পাঁচ মিনিট ধ্যান করলে বা ভ্রামরী প্রাণায়ামে বিশেষ উপকার পাবেন। তার পর বাম চোখের বামদিক ও ডান চোখের ডান দিকে হালকা মাসাজ করুন ২ মিনিট এতে রক্তের সঞ্চালন হবে ও অনিদ্রা আরাম পাবেন।

৭. ঘুম কম হলে রাত্রিতে ভাত খাওয়ার পর ১ গ্লাস দুধ খেলে ভালো ঘুম হয়।

৮. মাথায় ভালো করে নারিকেল তেল বা নবরত্ন তেল মেখে ঠান্ডা জলে স্নান করলে ঘুম ভালো হয়।

এই পদ্ধতি গুলি ঠিক নিয়ম মতো পালন করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ভালো ঘুমও ভালো হয় আর শরীর সুস্থ থাকে।

Leave a Reply