হিন্দু শাস্ত্র মতে চিরকালীন সুস্থ ও সবল থাকার উপায়:
‘চরক সংহিতা’ থেকে প্রাপ্ত কিছু দরকারি তথ্য় যা, আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। রোগ নিরাময়ে ও শরীরকে সুস্থ রাখতে এই বিশেষ কিছু দরকারি বাক্য যা মহাজ্ঞানী চরক আমাদের মেনে চলার জন্য উপদেশ দিয়ে গেছেন। আজকের এই বিষয়টি সম্পূর্ণ হিন্দু শাস্ত্র থেকে সংগৃহীত।
আরও পড়ুন: শুষ্ক চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে
চিরকালীন সুস্থ ও সবল থাকতে কিছু দরকারি কথা:
- খুব চিৎকার করে কথা বলবে না, খুব শব্দ করে হাসবে না।
- মুখ না ঢেকে হাই তুলবে না বা হাঁচি দেবে না।
- প্রবল স্রোতের জলে ডুব দিয়ে স্নান করবেন না।
- নাক খুঁটাবেন না।
- দাঁতে দাঁত ঘষবেন না।
- কাউকে ভয় দেখবেন না। বেশি সাহস (দুঃসাহস) দেখাবে না।
- দিনে ঘুমাবে না। ঘুমালে অতিরিক্ত ঘুমাবেনা।
- বেশি রাত অবধি জাগবেন না। সারা রাত জেগে থাকবেন না।
- মাত্রা ছাড়িয়ে কখনো খাবেন না। দেহকে বাঁকিয়ে খাবেন না বা শোবেন না।
- সামনের দিক থেকে সজোরে আসা বায়ুর মধ্য দিয়ে যাবেন না। পূর্বদিক থেকে প্রবাহিত বায়ুতে থাকবেন না।
- ঠান্ডা বায়ু গ্রহণ করবেন না।
- হাটু দুটো উচুকরে বেশিক্ষন বসবেন না।
- এঁটো মুখে এবং নিচের দিকে তাকিয়ে আগুন জ্বালাবেন না।
- পরিশ্রান্ত হলে বা গা দিয়ে ঘাম বেরোলে কিছু সময় বিশ্রাম না নিয়ে স্নান করবেন না।
- হাত, পা, মুখ, গা, ভালো করে ধুয়ে খেতে বসবেন। উত্তর দিকে মুখ করে করে খাবেন না। আনমনা হয়ে খাবেন না। বেশি খাবার খাবেন না।
- সকালে পায়খানা-প্রস্রাব না করে কাজ করবেন না।
- বাতাস, আগুন, সূর্য, চাঁদ ও জ্ঞানী এবং গুরুজন দের দিকে মুখ করে থুতু ফেলবেন না।
- বাতাস, আগুন, সূর্য, চাঁদ ও জ্ঞানী এবং গুরুজন দের দিকে মুখ করে পায়খানা-প্রস্রাব করবেন না।
- বহু লোকজনের মধ্যে বা খাওয়া দাওয়ার সময় বা পূজা প্রার্থনা করার সময় বা পড়াশোনা করার সময় বা কোনো ভালো কাজ করার সময় সেই সব জায়গাতেই নাক ও মুখ দিয়ে সর্দি ও কফ ফেলবেন না।
- ঠিক সন্ধ্যার সময়টা তে খাবেন না,পড়াশোনা করবে না বা কখনো ঘুমাবেন না।
- প্রস্রাব-পায়খানার বেগ কখনো চেপে রাখবেন না এতে কিডনির ক্ষতি হবে।
- ধুলো, ধোয়া, জোর বাতাস, চড়া রোদ দিয়ে চলাফেরা করবেন না।
- খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জল খাবেন না।
মহামতি চরক সকলকে সবসময় সব বিষয়ের মাত্রা রক্ষা করতে বলেছেন না। তিনি বলেছেন সঠিক মাত্রা রেখে খাবেন। সঠিক নিয়ম মেনে চলবেন। অযথা উত্তেজিত হতে মানা করেছেন। নিজ শক্তির উর্ধে কাজ করতে বারণ করেছেন।