ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

চুলের যত্ন নেওয়ার বিশেষ উপায়

চুলের যত্ন নেওয়ার বিশেষ উপায়
চুলের যত্ন নেওয়ার বিশেষ উপায়

চুলের যত্ন নেওয়ার বিশেষ উপায়: চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন। আমরা প্রত্যেকেই সৌন্দর্যের পূজারী। সৌন্দর্য কথাটির অর্থ হলো অভ্যান্তরিন ও বাহ্যিক উভয় রূপের মিলনের প্রকাশ। বর্তমান সমাজের কাছে সৌন্দর্যের দাম বেশি। তাই যুবক-যুবতী, ফিল্মের নায়ক-নায়িকা পর্যন্ত এই সৌন্দর্যের খেলায় মেতে উঠেছে। আর মেয়েদের সৌন্দর্যের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ দিক হলো তার মাথার লম্বা,ঘন, সিল্কি, মোলায়েম চুল। আসুন জেনে নিন চুলের পরিচর্চা বা যত্নের বিশেষ দিক গুলি। আজ ২১ রকম আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ পদ্ধতি গুলি আলোচনা করব।

চুলের যত্ন নেওয়ার সাধারণ পদ্ধতি:-

চুলের সমস্যার প্রধান কারণ দূষিত পরিবেশ। এছাড়া রয়েছে পরিচর্যার অভাব,পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন এই সমস্যা গুলি থেকে মুক্তি পেতে নিচের ২১ টি পদ্ধতি ভালোভাবে পড়ুন।

১. প্রতি একদিন অন্তর তেল অল্প গরম করে চুলের গোড়ায় আঙুলের ডগা দিয়ে আস্তে আস্তে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। নারিকেল তেল বা যে কোনো ভেষজ হেয়ার অয়েল হলেও চলবে মনে রাখবে প্রতি ১ দিন অন্তর।

২. ম্যাসাজ করার পর মোটা দাঁতের চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে বজ্রাসনে বসে সমস্ত চুল উল্টে সামনে ঝুলিয়ে নিন ঘাড় থেকে শুরু করে চুলের ডগা পর্যন্ত ৫০ থেকে ১০০ বার ব্রাশ বা চুল আঁচড়ান। দিনে অন্তত একবার এইভাবে চুলে চিরুনি চালাবে।

আরও পড়ুন: চিরকালীন সুস্থ ও সবল থাকতে কিছু দরকারি কথা

৩. চুল আঁচড়ানোর পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে ১০ মিনিট মাথায় জড়িয়ে রাখুন। তারপর চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সর্বদা আয়ুর্বেদীক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর পরে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

৪. সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন বিশেষ করে শ্যাম্পু করার পরে চিরুনি, ব্রাশ হালকা গরম জলে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। এগুলি ধোয়ার সময় জলে ২ ফোঁটা এন্টিসেপ্টিক লোসন মিশিয়ে নিন। অন্য কারো চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।

৫. সপ্তাহে একদিন তোয়ালে, বালিশের ওয়াড় চাদর সব গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করুন।

৬. প্রতিদিন সকালে চুল খুলে আঙুলের ডগা দিয়ে শুকনো হাতে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চুলের ও বৃদ্ধি ঘটবে।

৭. ক্লিপ, গার্ডার, হেয়ার ব্যান্ড যা দিয়ে চুল বাঁধুন, লক্ষরাখুন সেগুলো যেন চুলের গোড়ায় টান সৃষ্টি না করে। চুলের গোড়ায় টান পোড়লে চুল চিরে যায় বা চুলের ডগা ফেটে যায়।

৮. চুলের ডগা ফেটে গেলে ডগা কেটে ফেলুন। এছাড়া চুলের দৈর্ঘ বৃদ্ধির জন্য ১ মাস বা ২মাস অন্তর ১ ইঞ্চি করে চুল কেটে ফেলুন।

৯. সূর্যের প্রখর তাপ থেকে চুল কে রক্ষা করতে সর্বদা ছাতা ব্যবহার করুন। চুলে বেশি হিট দেবেন না। এছাড়া হেয়ার স্প্রে বেশি ব্যবহার করবেন না।

১০. ভিজে চুল কখনো আঁচড়াবেন না বা বাঁধবেন না।

চুলের যত্ন নেওয়ার আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি – Special Way To Take Care Of Hair:

১. প্রচুর জল, ফল, শাক-সবজি ও ফলের রস খান। খাবারে যেন ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, আয়োডিন ও আয়রন থাকে।

২. চুলে শ্যাম্পু করার আগে টক দই ফেটিয়ে বা ১-২ টি ডিমের কুসুম গুলে মাথায় মেখে ঘন্টা খানেক পর শ্যাম্পু করে নিন।

৩. শ্যাম্পু করার আগে অল্প জলের সাথে ১ টা পাতিলেবু বা কাঁচা আমলকির রস মাথায় মেখে ঘন্টা খানেক পরে শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুলের গোড়া মজবুত ও খুশকি দূর হবে এবং চুলের ডগা ফাটা বন্ধ হবে।

৪. স্নানের আগে লিকার চা ঠান্ডা করে মাথা ধুয়ে তার ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। একই উপকার পাবেন।

৫. প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করার পর ১ মগ জলে ১টা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৬. শ্যাম্পু করার পর ১ মগ জলে ২ থেকে ৩ চামচ ভিগিনার মিশিয়ে চুল ধুলে চুল চকচকে ও ঝলমলে দেখাবে।

৭. কাঁচা দুধে চিরুনি ভিজিয়ে মাথা আঁচড়ালে চুল মসৃন ও উজ্জ্বল হবে। তবে স্নানের পরে করতে হবে।

৮. মাসে একবার অন্তত চুলে হেনা করুন। তবে হেনা করার আগের দিন সকালে ও রাতে হট অয়েল বা গরম তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন।

৯. মাথায় যখনি শ্যাম্পু করবেন শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে অবশই গরম তেল দিয়ে ভালো করে পুরো মাথায় ম্যাসাজ করবেন। এতে শ্যাম্পু করার সময় চুল ওঠা অনেক তা কমে যাবে।

১০. গরমের সময় দিনে দুবার চুল ভিজিয়ে স্নান করুন। সম্ভব না হলে গোলাপ জলে তুলো ভিজিয়ে মাথার তালুতে লাগিয়ে নিন। এতে ঘাম থেকে মুক্তি পাবেন।

১১.ঘামের জন্য চুল রুক্ষ হলে সপ্তাহে ৩ দিন তেল ম্যাসাজ করুন। মাথা চুলকোলে নিম, চিরতা, কাঁচা হলুদ একই সাথে পিষে রস বের করে লোশন তৈরী করে লাগান।

Leave a Reply