ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে

তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে
তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে
Rate this post

তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে: তৈলাক্ত চুল বলতো বোঝায় যে চুলে তেলের পরিমান অতিরিক্ত থাকে, এই চুলের পরিচর্চা ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই এই চুল পরিচর্চা মনোযোগ সহকারে করা দরকার। তাহলে তৈলাক্ত ভাব অনেক তা কমে যাবে।

আগে এটা জানা দরকার চুল তৈলাক্ত হয় কেন? সেবিসিয়াস গ্রন্থির অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণের ফলে চুল তৈলাক্ত হয়। মাথায় ঘাম হলে মাথার চুল তৈলাক্ত মনে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হলো চুলের গোড়া অর্থাৎ স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে রাখা। অল্টারনেট ডে-তে মাইল্ড কিংবা হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ঘরে তৈরী করা আমলা, ত্রিফলা, শিকাকাই দ্বারা তৈরী শ্যাম্পুও তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে।


তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে:

এছাড়া টনিক লোশনের দ্বারা ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন। চুলে কন্ডিশনার যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার না করে আলাদা ভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ভিজে চুল আঁচড়াবেন না। টায়াল দিয়ে ঘষে ঘষে মুছবেন না। চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে সাবধানে ধীরে ধীরে চুল আঁচড়ান। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। তেলতেল চুলের ক্ষেত্রে লেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং চুলকে অতিরিক্ত তেলের হাত থেকে বাঁচান ও ঘরে তৈরী প্যাক ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিন সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি – Take Care Of Oily Hair In Ayurvedic Method:

১। ১ টা ডিম ভালো ভাবে ফাটিয়ে তাতে ৫ টেবিল চামচ কমলা লেবুর মিশিয়ে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর বেশি পরিমান জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। সারা রাত ১ লিটার জলে ১ কাপ রিঠে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে রিঠে চটকে নিয়ে জল ছেঁকে তাতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে শ্যাম্পু হিসাবে ব্যবহার করুন।

৩। আধাকাপ বা হাফ কাপ জলে ২ চামচ মল্ট ভিনিগার ও ১ চামচ নুন বা আধ চামচ নুন মিশিয়ে মিশ্রণটি ধীরে ধীরে মাথায় ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই ফর্মুলাটি সপ্তাহে ২ বার করলে ভালো ফল পাবেন।

আরও পড়ুন: চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক উপায়

৪। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের পরবর্তী হিসাবে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন ও পরে কন্ডিশনিং হিসাবে লেবুর রস এবং তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

৫। ১ কাপ শিকাকাই পাউডারের সঙ্গে আধা কাপ মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে রাখুন। ব্যবহার করার দরকার হলে ওই মিশ্রনের কিছুটা নিয়ে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পুর মতো ব্যবহার করুন।

৬। তেলতেল চুলের জন্য বোরিক পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর শেষবার চুল ধোবার জলে আধা চামচ বোরিক পাউডার এক বালতি জলে মিশিয়ে সেই জলে চুল ধুয়ে নিন।

Leave a Reply