[ad_1]
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে টেস্ট খেলাকে সবচেয়ে কঠিন এবং এই খেলায় খেলোয়াড়দের অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। সাধারণত বিশ্বের শক্তিশালী দলগুলি একমাত্র টেস্ট খেলার অনুমতি পায়। অন্যদিকে দুর্বল দলগুলি কেবল সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে এরই মধ্যে একটি দুর্বল দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়।
এদিকে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তানের মতো দলগুলি টেস্ট খেলার অনুমতি পেলেও এখনো পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছাতে পারেনি। আসলে ২০০৩ বিশ্বকাপের কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু অঘটনও ঘটেছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এই বিশ্বকাপে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলগুলির পাশপাশি আরেকটি দল সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। এই দলটি হল কেনিয়া। যারা ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়। এই দলটি ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং তাদের সেরা ফলাফল ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা।
ডারবানে অনুষ্ঠিত ২০০৩ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত ও কেনিয়া মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৭০/৪ রান করে। এই ম্যাচে অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন ও তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কা। এছাড়া শচীন টেন্ডুলকার ৮৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। জবাবে কেনিয়া মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হয়।
উল্লেখ্য ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগে কেনিয়া ৬ ম্যাচে ৪টিতে জয়ী হয়। গ্রুপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২১১ রানের টার্গেট দিয়ে ১৫৭ রানে অলআউট করে, যা কেনিয়া দলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল। এরপর সুপার সিক্সে ৫ ম্যাচে ৩টি জয়লাভ করে। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তারা সেমিফাইনালে উঠে ভারতের কাছে খুবই বাজেভাবে পরাজিত হয়।
[ad_2]