ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

এক টাকার ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জির অজানা ৮ টি কাহিনী

এক টাকার ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জির অজানা ৮ টি কাহিনী

[ad_1]

এক টাকার ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জির অজানা ৮ টি কাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদন : জন্ম ১৯৩৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। মৃত্যু ২০২২ সালের ২৬ জুলাই। ৮৩ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন বোলপুরের এক টাকার ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি। বুধবার তার শেষ যাত্রায় চোখের জলে তাকে বিদায় দিলেন বোলপুরের বাসিন্দারা। এই ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জির অনেক কাহিনী রয়েছে যা অনেকেই জানেন না।

১) যেখানে বাসের ভাড়া নূন্যতম ১০ টাকা, সেই জায়গায় তিনি চিকিৎসা করতেন মাত্র এক টাকায়। ৫৭ বছর মাত্র এক টাকায় রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কারণেই তার নাম হয়ে উঠেছিল ‘এক টাকার ডাক্তার’।

২) ১৯৬২ সালে MBBS পাশ করার পর বিলেতে যান MFPA) ও DCP করতে। ১৯৬৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি (গোল্ড মেডালিস্ট)। ১৯৭৮ সালে শেফিল্ড থেকে চাকরী ছেড়ে বিশ্বভারতীতে যোগদান করেন ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে। কিন্তু তাও এক সময় ছেড়ে দেন এবং গ্রামের অসহায় মানুষের জন্য চেম্বার খুলে বসেন।

৩) রাজনীতিতে তিনি পা রেখেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধে। একসময় তিনি ছিলেন জেলার কংগ্রেসের সভাপতি এবং ১৯৮৪ সালে বোলপুরের কংগ্রেসের বিধায়কও। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হলে তিনিই হন প্রথম জেলা সভাপতি।

৪) তিনি আবার এআইসিসির সদস্যও ছিলেন। ১৯৮৩ সালে জ্ঞানী জৈল সিং, তারপর ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, প্রতিভা পাটিল, প্রনব মুখোপাধ্যায় এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বভারতীর কর্ম সমিতিতে দায়িত্বের সঙ্গে কার্যভার সামলান।

৫) জানলে অবাক হবেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী সহ বহু রাজনৈতিক নেতার ‘রাজনৈতিক হাতে খড়ি’ সুশোভন বাবুর হাত ধরেই।

৬) মাত্র এক টাকায় প্রান্তিক মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে সম্মানিত করেন।

৭) আমজনতার এক টাকার ডাক্তার থাকার পাশাপাশি তিনি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পারিবারিক চিকিৎসক। এছাড়াও পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন অনুব্রত মন্ডল সহ অন্যান্যদেরও।

৮) করোনাকালে, এমনকি চিকিৎসকদের আন্দোলনে কর্মবিরতি অথবা নিজে অসুস্থ অবস্থায় ডায়ালাইসিস নিলেও তিনি তার চিকিৎসা পরিষেবা কখনো থামাননি।

[ad_2]

Leave a Reply