স্ক্রুটিনি ও রিভিউ করা যাবে প্রাথমিক টেট রেজাল্ট 2022 – WB Primary TET 2022 Scrutiny and Review Notice: নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে বদ্ধপরিকর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য আনা হল স্ক্রটিনি ও পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পিপিএস (পোস্ট পাবলিকেশান স্ক্রটিনি) এবং পিপিআর (পোস্ট পাবলিকেশান রি-ইভ্যালুয়েশান বাই অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন সিস্টেম)-এর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দিনক্ষণ ও ফি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আগামী ৩ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে ১০ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত করা যাবে পিপিএস ও পিপিআর-এর জন্য আবেদন। এর জন্য প্রার্থীপিছু অনলাইনে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দিতে হবে এক হাজার টাকা।
কীভাবে করবেন আবেদন?
- এর জন্য প্রথমে www.wbbpe.org বা https://wbbprimaryeducation.org ওয়েবসাইটে যান।
- তারপর “Teacher Eligibility Test-2022 (TET-2022) For Classes I To V”-তে ক্লিক করুন।
- এরপর ক্লিক করুন “Application For PPS/PPR Of TET-2022”-এ।
স্ক্রুটিনি ও রিভিউ করা যাবে প্রাথমিক টেট রেজাল্ট 2022 – WB Primary TET 2022 Scrutiny and Review Notice
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত বছর থেকে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে নেওয়া হয়েছে টেট পরীক্ষা। এবারে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে বিশেষভাবে তৎপর পর্ষদ। গত বছর ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় টেটের ফলাফল। এই বছর পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করান মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে পরীক্ষা দেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। পরীক্ষা গ্রহণের ২ মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হয় টটের রেজাল্ট। তাতে দেখা যায় পাশ করেছেন মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ৭৭ জন পুরুষ এবং ৬৯ হাজার ৪০৮ জন মহিলা।
পরীক্ষায়, প্রথম স্থান অধিকার করেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিং। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৩৩। ১৩২ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ জন। তাঁরা হলেন হুগলির মৌনিশা কুণ্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী ও দীপিকা রায় এবং পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার। ১৩১ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানেও রয়েছেন ৪ জন। তাঁরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনার মেহদি হাসান, পূর্ব মেদিনীপুরের বিকাশ ভক্ত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মনামী অধিকারী এবং বাঁকুড়ার প্রহ্লাদ মণ্ডল।