ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

একাই উড়িয়েছিলেন পাকিস্তানকে, ফ্ল্যাশব্যাকে দেখুন সচিনের সেই মহাকাব্যিক ইনিংস

[ad_1]

পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৭৩ রান তোলে। ইউনিস খান দুর্দান্ত শতরান করেন। ফলে ভারতের দিক থেকেও সেরকম এক বড় ইনিংস দরকার ছিল। কিন্তু ২০০৩ সালের আগে কোনও বিশ্বকাপে ভারত ২২২ রানের বেশি করতে পারেনি। সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল সৌরভ ব্রিগেডের কাছে। ওপেন করতে নামেন সচিন ও সেওয়াগ জুটি। প্রথম ওভার ব্যাট করেন সচিন। করেন ৯ রান।

সামনে পাকিস্তান থাকলে ভারতীয় দলের খেলায় আলাদা তাগিদ চলে আসে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হওয়ায় সেই ম্যাচের খিদেটা আরও বেড়েছে। কখনও সচিন তেন্ডুলকর , কখনও বীরেন্দ্র সেওয়াগ আবার কখনও বিরাট কোহলি পাকিস্তানের ত্রাস হওয়ার জন্য একাধিক নাম রয়েছে ভারতের হাতে। তবে সবথেকে বেশি যদি কেউ পাকিস্তানকে শাসন করে থাকেন তিনি হলেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের পুরো সময় ধরে তিনি পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করে গেছেন।

সেইরকমই একটি ঘটনা ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেবার ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেই বিশ্বকাপেই তৈরি হয়েছিল আগামীর ভারত। আজ থেকে ১৯ বছর আগে হওয়া সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর নিজের অন্যতম সেরা ইনিংসটা খেলেছিলেন।

তেন্ডুলকর দুর্দান্ত ৭৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যারউপর ভর করে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের ২৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে। তবে মাস্টার ব্লাস্টারের সেই ইনিংসটা না থাকলে হয়ত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের উপরে ভারতের শাসন ২০০৩ সালেই শেষ হয়ে যেত।

পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৭৩ রান তোলে। ইউনিস খান দুর্দান্ত শতরান করেন। ফলে ভারতের দিক থেকেও সেরকম এক বড় ইনিংস দরকার ছিল। কিন্তু ২০০৩ সালের আগে কোনও বিশ্বকাপে ভারত ২২২ রানের বেশি করতে পারেনি। সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল সৌরভ ব্রিগেডের কাছে। ওপেন করতে নামেন সচিন ও সেওয়াগ জুটি। প্রথম ওভার ব্যাট করেন সচিন। করেন ৯ রান। দ্বিতীয় ওভারে সচিনের কায়দায় শট খেলে সেওয়াগ করেন ১০ রান।

এরপর দুজনেই রান করতে থাকেন। যখন ৫৩ রানের পার্টনারশিপ হয় দুজনের সেই সময় সেওয়াগ ওয়াকার ইউনিসের বলে ২১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর সৌরভ নামলেও শূন্য রানে আউট হন। যদিও সচিন তেন্ডুলকর নিজের খেলাটা খেলে যান। শতরানের দোরগোড়়ায় তিনি শোয়েব আখতারের শর্ট বলে আউট হন।

তবে ৯৮ তে মাস্টার ব্লাস্টার ফিরলেও তাঁর ইনিংস বিফলে যেতে দেননি রাহুল দ্রাবিড় ও যুবরাজ সিং । তাঁদের জুটি ৯৪ রান করে। এই ম্যাচেই সচিন তেন্ডুলকর তাঁর ওডিআইয়ে ১২ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। এই ম্যাচটি ভারত ২৬ বল বাকি থাকতেই জিতে যায়।

ম্যাচের সেরা হন সচিন তেন্ডুলকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সচিন ওয়াসিম আক্রম , শোয়েব আখতার ও ওয়াকার ইউনিসের পেস আক্রমণকে যেভাবে খেলেছে তা বিশ্বকাপের ইতিহাসে উপরের দিকে থাকবে।

[ad_2]

Leave a Reply