ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

এশিয়া কাপে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করল ভারত

[ad_1]

চলতি বছরের শেষ দিকে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলার কথা থাকলেও তার আগে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়া কাপের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। কারণ এই টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তানের মতো দলের মধ্যে লড়াই হবে।

এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সব দল। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলও একের পর এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে এবং নতুন খেলোয়াড়দের দেখে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে এখন প্রশ্ন উঠছে ২০২২ সালের এশিয়া কাপে ভারতের ১৬ সদস্যের দল কী হতে পারে? ভারতীয় দল গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন দলের মুখোমুখি হচ্ছে এবং একই সঙ্গে দুটি দল মাঠে নামছে। অর্থাৎ এই সময়ে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে টিম ইন্ডিয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত নির্বাচকরা।

বর্তমানে বিরাট কোহলির পর টিম ইন্ডিয়ার তিন ফর্ম্যাটেই অধিনায়কত্ব রোহিত শর্মার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন তিনি।

হিটম্যান বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছেন তবে এশিয়া কাপে ভারতের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তার হাতে থাকবে, তার সঙ্গে ওপেনার হিসেবেও বড় দায়িত্ব থাকবে। তাই তার ফর্মে ফেরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অধিনায়ক ছাড়াও কেএল রাহুল টপ অর্ডারে দলে ফিরতে পারেন এবং বিকল্প হিসেবে দলে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে ইশান কিষাণকে।

টি ২০ বিশ্বকাপের আগে, রোহিত শর্মা এশিয়া কাপের দিকে নজর দেবেন এবং জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাইবেন। তবে এর জন্য মিডল অর্ডারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে ব্যাটসম্যানদের। এমতাবস্থায় নির্বাচকরা কার ওপর আস্থা রাখতেন, তা অবশ্যই একটা দেখার বিষয়। কোহলি ছাড়াও

এশিয়া কাপে মিডল অর্ডারে শ্রেয়াস আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, দীপক হুডা এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। সূর্য এবং হুডা এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এবং যে কোনও নম্বরে ব্যাট করতে পারেন।

সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দীপক হুদা দলে নিজের দাবি তুলেছিলেন, তাই নির্বাচকরা তাকে উপেক্ষা করতে চাইবেন না। অন্যদিকে, সূর্য অনেকবার কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, তাই নির্বাচকরাও তার উপর আস্থা রাখতে চান।

এছাড়াও হার্দিক পান্ডিয়ার কথা বলুন, এই সময়ে তিনি আক্রমণাত্মক ফর্মে রয়েছেন এবং ফিনিশার হিসাবে ভারতের পক্ষে সেরা প্রমাণিত হতে পারেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করতে গিয়েও নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি।

বিশেষ বিষয় হল ব্যাটিং ছাড়াও হার্দিক বোলিংয়ে তার কোটার ৪ ওভারও পূরণ করতে পারে এবং হুডাও সময় পেলে বোলিংয়ের ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই এশিয়া কাপেও তার বাছাই প্রায় নিশ্চিত বলা যেতে পারে।

এশিয়া কাপে উইকেটরক্ষক হিসেবে নির্বাচকের কাছে সবচেয়ে বড় দুই বিকল্প হতে পারে ঋষভ পন্থ এবং দীনেশ কার্তিক। নির্বাচকের প্রথম অগ্রাধিকার হবে পন্থ। তাই দীনেশ কার্তিক, যিনি দীর্ঘদিন পর টিম ইন্ডিয়াতে ফিরেছেন, তিনিও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এবং ফিনিশার হিসাবেও দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করছেন।

তাই নির্বাচকরাও তাকে উপেক্ষা করতে চান না। এশিয়া কাপে বিসিসিআই নির্বাচকরা ফাস্ট বোলিংয়ের দায়িত্ব দিতে পারেন জাসপ্রীত বুমরাহ, ভুনেশ্বর কুমার এবং হর্ষাল প্যাটেলকে।

কারণ বুমরাহের বড় টুর্নামেন্টে চাপ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং কীভাবে এবং কখন বল করতে হবে সে সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই নির্বাচকরা তার সঙ্গে যেতে পারেন। যদিও যুজবেন্দ্র চাহাল, রবীন্দ্র জাদেজা স্পিনার হিসাবে বিশ্বাস করা যেতে পারে।

এশিয়া কাপে ভারতের ১৬ সদস্যের দল এমন হতে পারে
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, ইশান কিষাণ, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, দীপক হুডা, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, দীনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, যুজবেন্দ্র চাহাল, রবীন্দ্র জাদেজা, জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষাল প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, অক্ষর প্যাটেল

[ad_2]

Leave a Reply