ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বেধড়ক মার খাওয়া হর্ষলকে বাঁচাতে গিয়ে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকলেন’ হার্দিক

[ad_1]

ফের একবার বোলারদের জন্য লজ্জার হার। কেন টিম ইন্ডিয়া একের পর এক ম্যাচ শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধে যাচ্ছে, সেটা কারও জানতে বাকি নেই।

এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর এ বার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ‘ধারাবাহিক ভাবে’ খারাপ বোলিং করে যাচ্ছে ভারতের বোলাররা।

বিশেষ করে ডেথ ওভারে ভারতের জোরে বোলিং যে একেবারে ভোঁতা সেটা আর নতুন ভাবে লেখার অপেক্ষা রাখে না। মোহালিতে ৪ উইকেটে হারের জন্য সবাই হর্ষল প্যাটেলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন।

যদিও তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকলেন’ হার্দিক পান্ডিয়া। তবে হার্দিক সাফাই দিলেও তথ্য অন্য কথা বলছে। ১৫ ওভারে ১৯২ রান বিলিয়েছেন বোলাররা। এরমধ্যে ভুবি ও হর্ষলের আট ওভারে উঠে গিয়েছিল ১০১ রান! আইপিএল-এ সাড়া জাগানো হর্ষল একাই চার ওভারে দিয়েছিলেন ৪৯ রান।

একটা সময় জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার শেষ চার ওভারে ৫৫ রান দরকার ছিল। সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার হাতে পাঁচ উইকেট ছিল। কিন্তু ইনিংসের ১৮তম ওভারে হর্ষল ২২ রান বিলিয়ে দেন।

সেই ওভারে ম্যাথিউ ওয়েড দুটি ছক্কা মারেন। টিম ডেভিড মারেন একটি ছক্কা। তবে অজি উইকেটকিপার হর্ষলকে ছক্কা মারার সুযোগই পেতেন না। যদি না নিজের বলে ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দিতেন হর্ষল! এরপর আর খেলায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রোহিত শর্মার দল।

যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হর্ষলকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করলেন হার্দিক। তাঁর দাবি বাকি দুই ম্যাচে দলের জোরে বোলাররা ঠিক ঘুরে দাঁড়াবেন।

হার্দিককে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেন, ‘আচ্ছা আপনার মতে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা?’ ম্যাচ হেরেও দাম্ভিকতার সঙ্গে হার্দিক বলেন, ‘আপনিই বলে দিন! আমি জানি না! আমরা জানলে তো অনেক আগেই ওদের থামিয়ে দিতাম!’

এরপর হর্ষলের পাশে দাঁড়িয়ে হার্দিক সরাসরি বলে দেন, ‘দেখুন এই ভাবে ওর দিকে আঙুল তাক করা উচিত নয়। আমরা ব্যাট করার সময়ও ওভার প্রতি ২০-২৫ রান নিয়েছি। আমার মতে এতে কোনও সমস্যা হয়নি। মনে রাখবেন এটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আমরা কামব্যাক করতেই পারি।’

শুধু বোলিং নয়, ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময় দুটি ক্যাচ ফেলে দেয় ভারতের ফিল্ডাররা। ডেভিড ওয়ার্নারের অনুপস্থিতিতে ওপেন করতে নামা ক্য়ামেরন গ্রিন ৩০ বলে ৬১ রান করেন। ওয়েড শেষের দিকে ২১ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের বিধ্বংসী খেলেন।

এই দুই ব্যাটারের সুবাদেই চার বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অক্ষর প্যাটেল ছাড়া আর কেউ দাগ কাটতে পারেননি। তিনি ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

উমেশ নিয়েছেন ২৭ রানে ২ উইকেট। তবে অনেক রান বিলিয়েছেন। ফিল্ডারদের জন্য চাপ বাড়ে ভারতের। ব্যক্তিগত ১৯ বলে ৪২ রানে থাকার মাথায় ক্যামেরন গ্রিনের ক্যাচ ফেললেন অক্ষর। হতভাগ্য বোলারের নাম হার্দিক।

পরের ওভারে অক্ষরের বলে স্টিভ স্মিথের (তখন ১৪ বলে ১৯ রান) ক্যাচ ফেলেন কেএল রাহুল। এই সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। ১৯.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। চার বল বাকি থাকতেই চার উইকেটে ম্যাচ জেতে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

[ad_2]

Leave a Reply