ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

মোহালিতে কোহলি আউট হতেই ক্ষোভ ঝাড়লেন রবি শাস্ত্রী !

মোহালিতে কোহলি আউট হতেই ক্ষোভ ঝাড়লেন রবি শাস্ত্রী !

[ad_1]

মোহালিতে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। বিরাট কোহলির ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত।

আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে টস হেরে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল। ২.৪ ওভারেই কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মার ওপেনিং জুটি ভেঙে যা।

৯ বলে ১১ রান করে ফিরে যান ভারত অধিনায়ক। জোশ হ্যাজেলউডের বলে ন্যাথান এলিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোহলির ট্র্যাকরেকর্ড অত্যন্ত ভাল।

৫৫-র গড়ে ৭২০ রান করেছেন তিনি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু সেই কোহলি এদিন ৭ বল খেলে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান মিডিয়াম পেসার এলিসের বলে।

মিড-অন ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে সোজা ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কোহলি। অপ্রয়োজনীয় শট মেরে কোহলি আউট হওয়ায় তাঁর কড়া সমালোচনা করলেন রবি শাস্ত্রী । প্রাক্তন শিষ্যকে অন-এয়ার শুনিয়ে দিলেন দু’কথা।

কোহলির ব্যাটিংয়ের সময়ে শাস্ত্রী ছিলেন কমেন্ট্রি বক্সে। কোহলি আউট হতেই শাস্ত্রী বললেন, ‘যেরকম জায়গায় ও খেলার সুযোগ পেয়েছিল, সেখানে এত আগে এরকম শট নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই ছিল না।

ও দ্রুততার সঙ্গে অতিরিক্ত রান করতে চেয়েছিল। ও সদ্য সেঞ্চুরি পেয়েছে। ভাল ফর্ম নষ্ট করা উচিত ছিল না। মিডল অর্ডারে ওর নিজেকে আরও সময় দেওয়া উচিত ছিল।

ও যে কোয়ালিটির ক্রিকেটার, ওভাবে বাতাসে খেলার দরকারই ছিল না ওরকম ট্র্যাকে। মাথায় রাখতে হবে ও কিন্তু অসাধারণ বল প্লেস করে। ও ইনিংসের পরেরদিকে বড় শট নিতে পারত। একবার ও সেট হয়ে গেলে নিজের ইচ্ছায় খেলতে পারত।’

প্রায় দু’মাসের বিরতি নিয়ে কোহলি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপের হাত ধরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ের মতো দুর্বল দলগুলির বিরুদ্ধে খেলেননি তিনি। প্রত্যাবর্তনের জন্য এশিয়া কাপকেই বেছে নিয়েছিলেন কোহলি।

এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কোহলি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি এবার ফিরছেন চেনা ছন্দে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে নড়বড়ে ৩৫ রান করেছিলেন বিরাট।

তিনটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, তিনি ধীরে ধীরে ফিরছেন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে কোহলি বার্তা দিয়ে রাখেন যে, ব্যাটের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

৪৪ বলে ঝকঝকে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের হাফ-সেঞ্চুরি (৪৪ বলে ৬০) করেন তিনি।

এরপর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে ভারতের নিয়মরক্ষার ম্যাচে কোহলি করেন ৬১ বলে ঝকঝকে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

১২টি চার ও ৬টি ছয় মারেন তিনি।২০১৯ সালের পর ২০২২। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি আসে কোহলির ব্যাট থেকে। ১০২০ দিন পর তিন অঙ্কের রানের দেখা পান তিনি।

[ad_2]

Leave a Reply