ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বিশেষ: আইফেল টাওয়ারকেও হার মানাবে যে রেলসেতু, জেনেনিন বিশেষ বৈশিষ্ট

বিশেষ: আইফেল টাওয়ারকেও হার মানাবে যে রেলসেতু, জেনেনিন বিশেষ বৈশিষ্ট
Rate this post

[ad_1]

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চেনাব নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু। ধনুকের মতো বাঁকা বিস্ময়কর সেতুটি উচ্চতায় হার মানাবে আইফেল টাওয়ার কেও। এটি মূলত চেনাব নদী দুই পাশের পাহাড় সংযোগ স্থাপন করবে।
৩৫৯ মিটার উঁচু রেলসেতুটি এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা খরচে তৈরি।

এই সেতু তৈরি করতে ২৪ হাজার টন ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে। স্টিলের খিলান দিয়ে তৈরি এই রেলসেতুটি দেখতে ঠিক ধনুকের মতো। এর উভয় প্রান্তে স্টেশন থাকবে। নিঃসন্দেহে এই সেতু পর্যটকদের কাছে হতে চলেছে এক অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।

সেতুর নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বাতাসের গতি মাপার জন্য বসানো হচ্ছে সেন্সর। ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বাতাস প্রবাহিত হলে সিগন্যাল লাল হয়ে যাবে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে পারে।

কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিক্টর স্কেল আট মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা সহ্য করতে পারবে এই সেতু। হিমাঙ্কের নিচে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এই সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। এছাড়া কাশ্মীরে হামলার আশঙ্কা কথা মাথায় রেখে ৬৩ মিলিমিটার পুরু বিস্ফোরক প্রতিরোধে বিশেষ ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে।

সেতুর থামগুলোও বিস্ফোরক প্রতিরোধে সক্ষম হবে, যা কাশ্মীরের স্পর্শকাতর এলাকার মানুষদের অনেকটাই স্বস্তি দেবে। সেতুর ক্ষয় রোধ করার জন্য বিশেষ রং করা হবে, যা ১৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে। সেতুর নিরাপত্তার জন্য আকাশপথে নজরদারি চালানো হবে। অনলাইনে ট্রেন ও যাত্রীদের উপর নজর রাখা হবে।

আজ থেকে ১২৫ বছর আগে ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রথমবার এই রেলসেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল। যদিও ভারতীয় এই রেলের গৌরবময় প্রকল্প শুরু হয় ২০০৪ সালে। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কায় এগোতে চাইনি নির্মাণকাজ।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আবার নতুন উদ্যমে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেই নির্মাণকাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও নতুন করে কাজে গতি বাড়ানো হয়। আশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। এর ফলে প্রথমবারের মতো ট্রেনযোগে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরের যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই সেতুটির আয়ু হবে ১২০ বছর। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে এখানকার উত্‍পাদিত আপেল বর্তমানে রাজধানী নয়াদিল্লিতে সড়কপথে পরিবহনে দুই দিনের মতো সময় ব্যয় হয়। কিন্তু সেতুটি নির্মিত হলে রেলযোগাযোগ সহজ হবে। এই পথে মাত্র ২০ থেকে ২২ ঘণ্টায় দিল্লিতে পণ্য পৌঁছানো যাবে।

পর্যটকদের কাছে ভূস্বর্গের আকর্ষণ কতটা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও সন্ত্রাসের আবহে বহু ক্ষেত্রেই পিছু করতে হয় তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত যে পর্যটকরা এখানে আসেন তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে যায় চোখ ধাঁধানো নৈসর্গিক সৌন্দর্যে। চেনা নদীর উপরে এই সেতু নিঃসন্দেহে তাদের আকর্ষণের তালিকার অন্যতম সংযোজন হতে চলেছে। সেই সঙ্গে রাজ্যটির আর্থিক উন্নতি হবে বলেও মনে করছেন রেল মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা।

[ad_2]

Leave a Reply