ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

আর্থিক দুর্বলতার কারণে প্রেমিকাকে পাননি, ‘কল্যাণী’র নামে তাকে অমরত্ব দেন বিধানচন্দ্র রায়

[ad_1]

ডঃ বিধান চন্দ্র রায়কে দ্বিতীয় ধন্বন্তরি বললেও ভুল হবে না। তিনি কত মানুষকে সুস্থ করেছেন, মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তার পেসেন্ট হিসেবে বিখ্যাত ব্যক্তিরাও বাদ যাননি। কিন্তু তিনি জীবনের শেষ মুহূর্তে বুঝেছিলেন শরীরটা ভাল যাচ্ছে না, তখন তিনি নিজেই বলে বসেন যে কোন ওষুধই আর বাঁচাতে পারবে না, তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। কিন্তু কে জানত জন্মদিনেই তিনি চিরঘুমের দেশে চলে যাবেন। 

ডক্টর বিধান চন্দ্র রায় তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তার বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবরা হাজির হয়েছেন তার জীবনের অন্তিম সময়ে। হঠাৎ করেই একটা সময় তার হৃদস্পন্দন থেমে গেল। দিনটা ছিল ১৯৬২ সালের ১লা জুলাই। যদিও তার চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা ছিল না তবুও এই কাজেই তিনি সর্বসেরা হয়ে উঠেছিলেন। ভারতের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল তার নাম। তবে তার জীবন কাহিনীতে জড়িয়ে রয়েছে এক অপূর্ণ প্রেম কাহিনী।

Image

তার বন্ধুবান্ধবরা বলতেন যদি সংসার করতেন তাহলে তার শরীরের উপর এত অনিয়ম হতো না। তখন বিধানচন্দ্র রায় সবে ডাক্তারি পাস করেছেন, রোজগারও খুব বেশি নয়। এমনকি তার পরিবারও বিত্তশালী ছিল না। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবার। সেই সময়ই হৃদয় বিনিময় হয়েছিল কিংবদন্তি ডাক্তার নীলরতন সরকারের মেয়ে কল্যাণীর সঙ্গে। 

তাদের প্রণয়ের সম্পর্কটি নীলরতনের কানে গেলে তিনি একদিন বিধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তার রোজগারের সম্পর্কে। রোজগারের অঙ্কটি শুনে নীলরতনের জবাব ছিল, তার মেয়ের হাত খরচ এর চেয়েও বেশি। এই প্রশ্নের উত্তরটা ভালো লাগেনি তার, তিনি বুঝে গিয়েছিলেন এই সম্পর্ক আর পরিণতি পাবে না। সেই আবেগই কি তাকে চিরকাল একা করে রাখল? লোকমুখে এমনটাই জানা গিয়েছে।

এরপর বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনে আরও একটি অধ্যায়। তিনি তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে। ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে ৫০ কিমি দূরে নদীয়া জেলায় একটি শহর তৈরি করলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গঙ্গাধারে এই জায়গাটি মার্কিন সেনাদের একটি ছোটখাট উপনিবেশ ছিল। পরবর্তী সময়ে সেখানেই বিধানচন্দ্র তৈরি করলেন কল্যাণী। নামটা কি খুব কাকতালীয়?

Image

অনেকের মতে প্রিয়তম কল্যাণীর সঙ্গে অপূর্ণ পরিণয়ের স্মৃতি থেকেই এই নামটি বেঁচে ছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। সেই কল্যাণী আজ রীতিমতো স্মার্ট শহরে পরিণত হয়েছে। এই আধুনিকতার আড়ালে কি লুকিয়ে আছে এমন এক কিংবদন্তির প্রেম কথা?  

বিধানচন্দ্র রায় ডাক্তার হিসেবে তো বটেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবেও তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী হবার পরেও নিজের বাসভবনে সকালবেলায় বিনা পয়সায় রোগী দেখতেন। অথচ নিজের শরীরটা শেষ হয়ে যাচ্ছে সেদিকে নজর দেননি। এভাবেই তিনি নিজেকে এক উচ্চ জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বিধানচন্দ্র রায় কখনও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে চলে যেতে শেখেননি।

[ad_2]

Leave a Reply