এই বছর থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করে চালু হতে চলেছে ‘চার বছরের স্নাতক কোর্স প্রোগ্রাম’। এবার থেকে তিন বছরের পরিবর্তে চার বছরে স্নাতক হবেন পড়ুয়ারা।
কেমন হবে এই চার বছরের গ্ৰাজুয়েশন জেনেনিন:
১) জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনে তৈরি হওয়া গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে স্নাতক হওয়ার সময় এক বছর বৃদ্ধি পেল। বর্তমানে গ্র্যাজুয়েশন সিবিসিএস (চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম)-এর অন্তর্গত। যেখানে তিন বছরে মোট ছয়টি সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে হয় পড়ুয়াদের। তবে নয়া স্নাতক কোর্সে সেমিস্টার হবে চার বছরে মোট আটটি। যেখানে প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম সেমিস্টার শুরু হবে জানুয়ারি থেকে। আর দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম সেমিস্টার শুরু হবে জুলাই থেকে। প্রতিটি সেমিস্টারের মেয়াদ ছয় মাস করে।
২) নয়া স্নাতক কোর্সে থাকছে মাল্টিপল এন্ট্রি ও এক্সিট অপশন। অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শেষে কোর্স ছাড়তে পারছেন পড়ুয়ারা। যে বর্ষে কোর্স ছাড়বেন সেই যোগ্যতা অনুযায়ী সার্টিফিকেট পাবেন। আর চার বছর কমপ্লিট করলে পাচ্ছেন গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট-সহ সরাসরি গবেষণার সুযোগ।
৩) চার বছরের স্নাতক কোর্স কমপ্লিট করলে এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে যুক্ত হতে পারবেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি থাকছে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি কোর্স’ ও ‘সামার ইন্টার্নশিপের’ সুবিধা।
৪) আগের নিয়মে, ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে পরীক্ষায় ১০ নম্বর করে বরাদ্দ থাকত। তবে এবার উপস্থিতির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার নিয়মটি উঠে যাচ্ছে। পাশাপাশি, অ্যাটেনডেন্স সম্পর্কিত নিয়ম আরও কড়া হচ্ছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নয়া স্নাতক কোর্সে এমন বহু জিনিস যুক্ত হচ্ছে যা আগে ছিল না। ক্রমশ এই নিয়মগুলির সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, যে সুযোগ-সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে তাতে উচ্চশিক্ষায় বিশেষ উপকার হবে তাঁদের। অতএব মনে করা হচ্ছে, নতুন স্নাতক কোর্সে বেশ কিছু কড়াকড়ি হলেও তার থেকে পড়ুয়াদের যেমন অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হবে, তেমনই ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাবেন। আর সকল নিয়মগুলি সঠিকভাবে মেনে পড়াশোনা করলে পড়াশোনাকে কঠিন বলে মনে হবে না বরং আগ্রহ বাড়বে শিক্ষার্থীদের