Bengaliportal: “শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে রগড়ে দেব।” একথাই বলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেনের মতো তারকারা।
মার্চের শেষেই ‘নিজেদের মতে, নিজেদের গান’ নামের একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। যার মূল কথা “আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব।” অনির্বাণ ভট্টাচার্যর লেখা সেই গানের ভিডিও তৈরি করেন ঋদ্ধি সেন ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। আর তাতে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অরুণ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একঝাঁক টলিউড তারকা।
❒ প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দিলীপ ঘোষের ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্যের খবর শেয়ার করে পরমব্রত লিখেছেন, “মাননীয় ঘোষ মহাশয়ের মন্তব্য পড়ে অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, অনেক শিল্পী অভিনেতা তো আপনাদের দলেও যোগ দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কি আপনার রগড়ানি প্রযোজ্য? আপনাদের বলি, বুঝতে ভুল হচ্ছে আপনাদের! উনি আসলে বলেছেন, শিল্পীদের যদি রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে হয়, একমাত্র ওঁদের দলের হয়েই বলতে হবে। তাহলেই আর কোনও সমস্যা, রগড়ানি কিছু নেই।নিদেনপক্ষে অন্য কোনও বিরোধী দলের হয়ে যদি বলেন, সেও ভি আচ্ছা! কারণ সেটা শেষমেশ সিস্টেমের ভেতরে থেকে কথা বলা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতিতে সময়ের জাঁতাকলে কে কখন কাজে লাগে বলা যায় না।
কিন্তু পার্টির রং ছাড়া, স্বাধীনভাবে রাজনীতি, সমাজ এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা যাবে না। ভাবনা চিন্তা যত স্বাধীন, তত সমস্যা! ভাবলেই রাষ্ট্রশক্তির বিপদ যে! মনে পড়ে, হীরক রাজার দেশের কথা? ওফ উদয়ন মাস্টার, তোমার কথা যে আজ বড্ড মনে পড়ে! বাকিটা আমার প্রিয় দেশ এবং রাজ্যবাসীর উপরেই ছাড়লাম।”