ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

আসন্ন বিধানসভা ভোট প্রচারে বাম নেতৃত্বর প্রধান হাতিয়ার টুম্পা সোনা গান

আসন্ন বিধানসভা ভোট প্রচারে বাম নেতৃত্বর প্রধান হাতিয়ার টুম্পা সোনা গান
আসন্ন বিধানসভা ভোট প্রচারে বাম নেতৃত্বর প্রধান হাতিয়ার টুম্পা সোনা গান
Rate this post

Bengaliportal: অভিজ্ঞতার চোখ দিয়ে যতই রাজনীতিকে দেখা হোক, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে যে আজকের যুব সম্প্রদায়ের পছন্দ-অপছন্দ বুঝে নিতে হবে, তা দিব্যি টের পেয়েছে বাম নেতৃত্ব। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। সনাতনী ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান কিংবা আজকের দিনের ‘ফেরাতে হাল ফিরুক লাল’, ‘খেলা হবে’ – এসব স্বর তোলার পাশাপাশি ঢুকে পড়েছে নেটজগতের ভাইরাল ‘আইটেমও’। সাম্প্রতিকতম সংযোজন – টুম্পা সোনা। অবাক হলেন? কিন্তু সত্যি এটাই। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেগা প্রচারে বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড সমাবেশ। তাতে জনসমাগম টানতে সিপিএম ‘টুম্পা’র দ্বারস্থ। সিপিএম নেতারাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘টুম্পা সোনা’ গান তুলে ধরে ব্রিগেডের প্রচার চলছে।

প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:

ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় গান ‘টুম্পা সোনা’র সঙ্গে এতদিনে পরিচিত কমবেশি সকলেই। শুধু মধ্যবিত্ত বাঙালির যুবকের প্রেমজীবনের ব্যর্থতার কাহিনিতে একটু রাজনৈতিক মোচড়। গানের কথাকে ঘুরিয়েফিরিয়ে ব্রিগেডমুখী করে তোলাই উদ্দেশ্য।কথার অদলবদল কেমন জানেন? কয়েকটা লাইন খেয়াল করলেই বোঝা যাবে। বলা হচ্ছে, ‘টুম্পা/তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব/টুম্পা/চেন ফ্ল্যাগে মাঠ সাজাব/টুম্পা/২৮ শে তুলব আওয়াজ/টুম্পা/মোদি-দিদি সব ভোগে যাক।’ সুতরাং, বার্তা স্পষ্ট। আর যুব প্রজন্মকে কাছে টানতে টুম্পার উপর ভর করেই চলছে ব্রিগেডের প্রচার। এমনকী সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ফেসবুক পেজেও ‘টুম্পাসোনা’র অবাধ বিচরণ। বামপন্থী সমর্থক হোক কিংবা বিরোধী – সিপিএমের সুরে ‘টুম্পা সোনা’র নয়া অবতার এখন হোয়াটসঅ্যাপেও ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ব্রিগেডের সঙ্গে বামেদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উনিশের লোকসভা ভোটের আগেও ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল বামেরা। একুশের ভোটে অবশ্য রাজনৈতিক সমীকরণ খানিকটা বদলেছে। একা বাম নয়, এবার ব্রিগেডের মেগা প্রচারে থাকছে বাম, কংগ্রেস, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা আর প্রচুর সমর্থক। কারণ, এই তিন দল এবার জোট বেঁধে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। টার্গেট এবার তাই – ১০ লক্ষ। বাম কর্মী, সমর্থকদের ইতিমধ্যেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে – ‘আপনি আসুন, সঙ্গে আরও ২ জন।’ এভাবেই বেঁধে দেওয়া হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা। ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড নিয়ে খুব আশাবাদী বাম নেতৃত্ব। বিশেষত জেলাগুলিতে আশায় বুক বাঁধছেন কর্মীরাও। 

Leave a Reply