ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকায় জল সংকট

Water Crisis In Durgapur Municipality Area
Water Crisis In Durgapur Municipality Area

বেঙ্গলি পোর্টাল: ২০১৭ সালের অর্থাৎ গত তিন বছর আগের প্রতিচ্ছবি দেখা দিতে চলেছে দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকায়। গত তিন বছর আগেও ভেঙে গিয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারাজের কয়েকটি গেট। সেই গেট ভেঙে যাওয়ার ফলে প্রায় দু’দিন যাবত শহরে চলেছিল জলের সঙ্কট, ফলে উৎপাদন বন্ধ ছিল শহরের অনেক কারখানায়। গত শনিবার দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর গেট ভেঙে যায়। অবশ্য পৌরসভার দাবি, এবারের পরিস্থিতি পূর্বের ন্যায় ‘ততটা’ খারাপ হবে না। কিন্তু শহরবাসী তাকে আশ্বস্ত হতে পারেনি।

প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:

পবিত্র চট্টোপাধ্যায় পৌরসভার মেয়র (জল সরবরাহ) পারিষদ জানিয়েছেন পানীয় জলের বিকল্প উৎস নিশ্চিত করতে ২০১৮-য় ২৫টি জায়গায় গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদেরও। পবিত্রবাবু বলেন, “পুরসভার হাতে ২৮টি জলের ট্যাঙ্কার রয়েছে। প্রয়োজনে আরও দশটি ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করা হবে। সাব-মার্সিবল পাম্পে জল তুলে ট্যাঙ্কারে সরবরাহ করা হবে পাড়ায়-পাড়ায়।” এ ছাড়া, প্রয়োজনে আসানসোল থেকে জল আনার বিকল্পও রয়েছে। দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, “রান্নার জল, খাবার জল হয়তো হবে। গাড়ি ধোয়া, বাগানে দেওয়ার জল পাবেন না। জল অপচয় না করার আর্জি জানানো হচ্ছে।”

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ৩৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় দু’বেলা পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এ দিন গেট ভাঙার পরে, তা এক বেলা করা হয়েছে। ব্যারাজ ফাঁকা হওয়ার আগে জল তুলে রাখা হয়েছে। আজ, রবিবার সকালে তা সরবরাহ করা হবে। পরে ট্যাঙ্কারে করে জল দেওয়া হবে।

শহরবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ সঞ্চার হয়েছে। সিটি সেন্টারের এক বাসিন্দা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৫৪ ফুট এলাকার মিহির রায়, ডিএসপি টাউনশিপের রণজিৎ গুহদের কথায়, “গত বার খাবার জল পেতে মাথা খুঁড়তে হয়েছিল। অনেকে বেশি দামে জল বেচেছিল। উপায় না দেখে তা-ই কিনেছিলাম। এ বার যতক্ষণ না জল আসছে, ততক্ষণ ভরসা পাচ্ছি না।’’

দুর্গাপুরের শহরাঞ্চলে শিল্প কারখানা গুলোতে জলের জোগানের কী হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে অঞ্চলের শিল্পোদ্যোগীরা। “পশ্চিমবঙ্গ স্পঞ্জ আয়রন ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন”-এর সভাপতি শঙ্করলাল আগরওয়ালের প্রতিক্রিয়া, “জলের সমস্যা হবেই। বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তবে দ্রুত গেট মেরামতি হচ্ছে। ২০১৭-র মতো অবস্থা হবে না বলেই আশা করছি।” কারখানায় জলের যোগান নিয়ে পুরসভার তরফ থেকে তেমন কিছুই জানানো হয়নি। নিজের গৃহিণী যাওয়ার পরে কত পরিমান জল বেরিয়ে এসেছে সেই সম্পর্কেও ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

Leave a Reply