[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে বেশ কিছু ছবি। তবে সেই সকল ছবির মধ্যে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে একটি ছবি। যেখানে রয়েছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। দুজনের নাম পার্থ হলেও রয়ে গেল বিশাল ফারাক। একজন হলেন পার্থ দে আর একজন হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের এই দুই মন্ত্রীর ফারাক টেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম কিছু সমর্থক তাদের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পার্থ দে দীর্ঘদিন স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে যোগ্যতার নিরিখে চাকরি দিয়েছিলেন।’ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ যে অবশ্য প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি জানতেনই না।
যেখানে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় এবং ভূমিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হদিস অথবা খোঁজ মিলছে সেই সময় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে কাটাচ্ছেন একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে। পার্থ দে হলেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের আদি বাসিন্দা। যদিও তিনি বর্তমানে সেখানে থাকেন না বলেই জানা যাচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার পর বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজে অধ্যাপনাও করেছেন।
পার্থ দে ১৯৭৭ সালে সালে বাঁকুড়া থেকে বামেদের প্রার্থী হন এবং ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ফের একবার বামেদের টিকিটে লড়ে জয়ী হন। কিন্তু, ২০০১ সালে তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী কাশীনাথ মিশ্রের কাছে তিনি পরাজিত হন। পরে আবার ২০০৬ সালে ফের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন। তবে এরপর তিনি বাঁকুড়া ছেড়ে বালিগঞ্জে থাকা শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি বর্তমানে তিনি রাজনীতি থেকে একপ্রকার দূরেই রয়েছেন।
তবে তিনি যে বর্তমানে সেই ভাবে সুবিধাটুকু পান না তা স্পষ্ট ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে তাঁকে নিয়ে লেখা সূর্যকান্ত মিশ্রর একটি পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, “প্রাক্তন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্থ দে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তাতেই নামিয়ে দিল বেলেঘাটা-র সরাকারি অ্যাম্বুল্যান্স।”
[ad_2]