ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

অনির্বাণের শেষকৃত্যের জন্য এগিয়ে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্যানস ক্লাব

[ad_1]

কলকাতা ময়দানকে স্তব্ধ করে বিদায় নিয়েছেন অনির্বাণ নন্দী। তাঁর মৃত্যুর পর শেষকৃত্বের জন্য এগিয়ে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্যানস ক্লাব।

সকলের থেকে কলকাতা ময়দানকে স্তব্ধ করে বিদায় নিয়েছেন অনির্বাণ নন্দী। দুর্গাপুজোর দ্বাদশীর দিন কিডনির সমস্যা নিয়ে প্রয়াত হন এই কট্টর মোহনবাগান সমর্থক।

বাবা চলে গেছেন শৈশবেই, পরে হারান মাকে, আত্মীয় স্বজন সেইভাবে কেউ নেই ফলে একাই থাকতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর শেষকৃত্বের জন্য এগিয়ে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্যানস ক্লাব।

মূলত তাঁদের উদ্যোগেই অনির্বাণের শেষকৃত্ব হবে। আর্থিক সাহায্য নিয়ে করা হবে শেষকৃত্য। ইতিমধ্যে অর্থ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে (9064517954 এখানে করা যাবে সাহায্য)।

তবে ফুটবল জগতের অনেকেই রয়েছেন তাঁর শেষকৃত্যে। কলকাতার তিন প্রধানের সদস্য সমর্থকরা তো রয়েছেন। এবার সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা।

যেই মানুষটা ময়দান অন্তপ্রাণ ছিল, তাঁকেই ময়দান এবার কিছু ফিরিয়ে দিতে চায়, তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে শেষ যাত্রা অনির্বাণের ভালো হয়।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রিয়ালিটি শো দাদাগিরিতে গিয়েছিলেন অনির্বাণ। সেখানে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা, মনে কথা তুলে ধরেছিলেন। মোহনবাগান পাগল অনির্বাণকে মনে ধরেছিল সৌরভেরও।

এছাড়া তিনি অপর রিয়ালিটি শো দিদি নম্বর ওয়ানে তাঁর প্রয়াত মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে ময়দানের বাইরের মানুষও তাঁর ব্য়াপারে জানতে পারেন।

অনির্বাণের মৃত্যুর পর বিভিন্ন ফ্যানস ক্লাবের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানানো হচ্ছে। গ্যালারিতে বসে যে সমস্ত মোহনবাগানিরা একসঙ্গে বসে খেলা দেখতেন তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে অনির্বাণ নেই।

হোসে রামিনেজ ব্যারেটো, শিল্টন পালের মত তারকারাও শোকপ্রকাশ করেন অনির্বাণের উদ্দেশ্য। শরীরিক অসুস্থতা নিয়েও পুজোর কয়েকটা দিন আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন অনির্বাণ। অষ্টমীতে পুরি ঘুরতেও গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ছবিও পোস্ট করেছিলেন পুজোর সময়।

কিডনির চিকিৎসার সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে তাঁর কাছে ৫ মাস সময় বাকি রয়েছে। কিডনি বিকল বহু দিন ধরেই। চিকিৎসকরা জানান, দুটো কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে।

অনির্বাণের পক্ষে যা করা সাধ্য ছিল না। তাই সাহয্য চান। এগিয়ে আসে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডানের সমর্থকরা। সবুজ মেরুনের পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

লড়াই চলছিল, ডায়ালিসিস নিতে না পেরে একটু একটু করে শেষ হচ্ছিলেন অনির্বাণ। ফেসবুকে আর্তি, ‘আমি বাঁচতে চাই।’ কিন্তু হল না। থামল দৌড়।

মোহনবাগানের খেলা হলেই চলে যেতেন। প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে গিয়ে একবার আটক হয়েছিলেন। করোনার মধ্যে ডার্বি দেখতে চলে গিয়েছিলেন গোয়া। করোনাবিধি ভাঙায় পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। পরে মুক্তি পান তিনি। এখন আর দেখা যাবে না এই পাগলামি।

[ad_2]

Leave a Reply