ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

কোহলির ফিফটিতে পাকিস্তানকে পাহাড় সমান রানের টার্গেট দিল ভারত

[ad_1]

শুরুতেই তান্ডব চালিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। চুপচাপ থাকা লুকেশ রাহুল জ্বলে উঠলেন তৃতীয় ওভারেই। নাসিম শাহের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন এ দুই ব্যাটার। তাতে ৫ ওভারেই ৫০ রান স্পর্শ করে ভারত। পাওয়ার প্লেতেও আসে রেকর্ড সংগ্রহ। তবে তাদেরকে ফিরিয়ে পাকিস্তান ব্রেক-থ্রো এনে দেন হারিস রউফ ও শাদাব খান।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ আট টি-টোয়েন্টিতে তিনবারই ২ বলের মধ্যে আউট হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে দুই দলের প্রথম ম্যাচে চড়াও হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রথম তিন বলে মাত্র ১ রান এসেছিল।

চতুর্থ বলেই কাভারের ওপর দিয়ে চার। শেষ বলে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা। আগের ম্যাচে যে নাসিম শাহ ভুগিয়েছেন ভারতকে, সেই নাসিমের ওপরই চড়াও হন রোহিত শর্মা। তাতে ইনিংস শুরুরে ৬ বলেই আসেই ১১ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ হাসনাইনের মিড অফের ইনফিল্ড ক্লিয়ার করে মেরেছেন চার।

রোহিতের পর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন লুকেশ রাহুলও। তার ফর্ম যে এখন আলোচনায় আছে, সেটিরই যেন জবাব দিলেন তিনি। শুরুতে চুপচাপ থাকলেও তৃতীয় ওভারে আর দমে থাকেননি তিনি।

নাসিমের ঘণ্টায় ১১৮ কিলোমিটার গতির স্লোয়ার—এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ছয়। শেষ ডেলিভারিতে ঘণ্টায় ১৪৩ কিলোমিটার গতির বলটির ছক্কা গিয়ে লেগেছে সাইটস্ক্রিনে।

এ দুই ব্যাটারের ঝড়ো তান্ডবে ৫ ওভারেই ৫৪ রান তুলে নেয় ভারত। তবে ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে গিয়ে পরাস্ত হন রোহিত। হারিস রউফের বলে রোহিত শর্মার টপ এজে ওঠা ক্যাচ নিতে গিয়েছিলেন দুজনই।

ফখর হাতও বাড়িয়েছিলেন, তবে সেটি গলে বল আশ্রয় নিয়েছে খুশদিলের হাতে। অক্ষত আছেন দুজন, ফিরতে হয়েছে ভারত অধিনায়ককে। ফেরার আগে ১৬ বলে ২৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি। তিন চার ও দুই ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

ভারত অধিনায়ক ফেরার পর রানের গতিও যেন হ্রাস পায়। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াইডসহ বাউন্ডারিতে ৫ রান আসে। তাতে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তোলে ভারত। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের রেকর্ড। ২০১২ সালে আহমেদাবাদে পাওয়ার-প্লেতে ভারত তুলেছিল ৪৮ রান, এতদিন সেটিই ছিল রেকর্ড।

সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই অবশ্য রাহুলকে ফেরালেন শাদাব খান। স্লটে পেয়েছিলেন ভেবে তুলে মেরেছিলেন রাহুল, তবে টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। লং অনে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ধরা পড়ার আগে ২০ বলে করেছেন ২৮ রান।

পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারাল ভারত। এর পর ১০ বলে ১৩ রান করে নেওয়াজের বলে আসিফের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন সূর্য কুমার যাদব। বিরাট কোহলির সাথে জুটি বাধেন ঋষভ পন্ত।

১২ বলে ১৪ রান করে সাদাব খানের বলে আসিফ আলীর কাছে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ঋষভ পন্ত। এর পর ব্যাটে নামেন হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাটে নামে বেশি সময় ক্রিজে টিক্তে পারলেন না বিগ হিটার হার্দিক পান্ডিয়া।

২ বলে ০ রান করে হাসনাইনের বলে নেওয়াজের কাছে ক্যাচ তুলে দেন হার্দিক। এবার কোহলির সাথে জুঠি বাধতে ব্যাটিংয়ে নামেন দীপক হুদা। ৬ মেরে ৩৬ বলে এশিয়া কাপের নিজের ২য় ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নিলেন কিং কোহলি।

নাসেম শাহার বলে ১৪ বলে ১৭ রান করে নেওয়াজের ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন দীপক হুদা। ব্যাটিংয়ে নাম্লেন ভূবেনশর কুমার। ৪৪ বলে ৬০ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কিং কোহলি। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে পাকিস্তানকে ১৮২ রানের টার্গেট দিল ভারত।

[ad_2]

Leave a Reply